মিঠামইন প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের ভৈরব বাজার লঞ্চ ঘাট থেকে দশ নির্মাণ শ্রমিক বিরতিহীন লঞ্চে ১৩ ই জুলাই বুধবার রাতে অষ্ট্রগ্রাম উপজেলা ও মিঠামইন উপজেলার কাটখাল যাওয়ার পথে কোকের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে নির্মাণ শ্রমিকদের সর্বস্ব নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গিয়াছে।
জানা যায়,ঘটনার দিন রাত ১২ টা সময় চট্টগ্রাম থেকে ভৈরব আসে ১০ জন নির্মাণ শ্রমিক তাদের নীজ নীজ বাড়ি যাওয়ার জন্য।কোরবানি ঈদের সময় তারা বাড়ি যেতে পারেনি। গত বুধবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে ভৈরব আসে বাড়ি যাওয়ার জন্য। ভৈরব বাজারের লঞ্চ ঘাটে রাতের খাবার খেয়ে ১০ জন শ্রমিক বিরতিহীন লঞ্চে উঠে। তাদের মধ্যে ২ জন শ্রমিক লঞ্চের ছাদে ঘুমাতে যায়।
অপর ৮ জন নীচে লঞ্চের ডিকিতে ঘুমানোর ব্যবস্হা করে।ঐ সময় তাদের সঙ্গে অষ্ট্রগ্রাম উপজেলার আবদুল্লাহ পুর গ্রামের মনোয়ার নামে অপর এক শ্রমিক বাড়ি যাওয়ার জন্য আসে।ঐ শ্রমিক লঞ্চের ডিকিতে ৮ জনের সাথে মিশে গল্প শুরু করে।কিছুক্ষণ পর লঞ্চ ছাড়ার পূর্বে মনোয়ার নামে ঐ লোকটি ৮ টি কোক নিয়ে আসে। তারা এক সঙ্গে কোক খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।লঞ্চ খানী ভোর রাতে চাতলপাড় স্টেশান থেকে ছাড়ার পর উপর থেকে সুলতান নামে এক নির্মাণ শ্রমিক নীচে ডিকিতে এসে দেখতে পায় সকলেই ঘুমে অচেতন। তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা কোরবানির মাংস কিছুই নেই।এসময় তাদের পাশে থাকা অপর এক যাএী বলেন, রাতে তারা ঠাণ্ডা খেয়ে ঘুমিয়েছে। তিনি আরও বলেন, সঙ্গে থাকা লোকটি ব্যাগ নিয়ে উপরে উঠতে দেখে।
বিষয়টি লঞ্চে জানাজানি হলে লঞ্চের খালাসি বলেন,চাতলপাড় ঘাটে ৪/৫ জন যাএী ব্যাগ নিয়ে নেমেছেন। করা হচ্ছে এদের মধ্যে এই কাজটি করেছে। নির্মাণ শ্রমিক সুলতান মিয়া জানান,তার বাড়ি মিঠামইনের চরকাটখাল গ্রামে।ঈদের সময় বাড়ি যেতে পারেনি তারা।
চট্টগ্রাম থেকে ১৫ কেজি মাংস ও টাকা পয়সা কাপড় চোপড় নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিচ্ছিলেন।তিনি জানান, মোবাইল ফোন নগদ টাকা ও অন্যান্য মালামাল সহ আড়াই লক্ষ টাকা নিয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, অচেতন ৮ জন শ্রমিককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জ্ঞান ফেরানো হয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: