নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা মেডিকেল কলেজে মারধর ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভাঙচুরের ঘটনায় সেবা বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। রোববার সকাল থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় জরুরি বিভাগের চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দেন তারা।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানকে বলেন, জরুরি কাজে বাইরে আছি। ঘটনা শুনেছি। হাসপাতালে গিয়ে বিস্তারিত জানতে পারবো। জরুরি বিভাগ খোলা থাকলেও ক্যাজুয়ালিটি বিভাগ বন্ধ রয়েছে বলে জানান তিনি।
শনিবার খিলগাঁওয়ের সিপাহীবাগ এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হলে ওই ঘটনায় আহত এক গ্রুপ চিকিৎসা নিতে ঢাকা মেডিকেলে আসে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। পরে অপর একটি গ্রুপ চাপাতি নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভেতরে ঢুকে পড়ে। একপর্যায়ে চারজনকে আটক করে সেনাবাহিনীর কাছে সোপর্দ করা হয়। আটকরা হলেন- বাপি মিয়া (২৪), আদিব (২৩), নাসির (২৫) ও নাবিল (২৭)। তারা সবাই রাজধানীর খিলগাঁও থানা এলাকার বাসিন্দা।
গতকাল নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চিকিৎসকরা দোষীদের সিসি টিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেন। অন্যথায় ২৪ ঘণ্টা পর তারা কর্মবিরতিতে যাবেন বলে ঘোষণা দেন। কিন্তু আল্টিমেটামের সময় শেষ হওয়ার আগেই কর্মবিরতিতে যান চিকিৎসকরা।
ঢাকা মেডিকেলে নিরাপত্তা শঙ্কায় জরুরি বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এরপর কর্মবিরতির ঘোষণা দেন তারা। আল্টিমেটামের ২৪ ঘণ্টা শেষ হওয়ার আগেই কর্মবিরতিতে যান চিকিৎসকরা।
রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার আহসানুল হক দীপ্ত (২৩) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস টেকনোলজির (বিইউবিটি) ছাত্র ছিলেন। ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে ঢামেকের এক চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ঢামেকে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: