নিউজ ডেস্ক: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, খরস্রোতা আমাজন নদীর উপর কেউ সেতু করার সাহস না করলেও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা পদ্মার বুকে সেতু নির্মাণ করে বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছেন। মাদারীপুর জেলার শিবচরে কাঠালবাড়ি ঘাটে পরিদর্শনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পদ্মা সেতু করতে গিয়ে দেশি-বিদেশি অনেক প্রতিকূলতা ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেছেন। শত প্রতিকূলতার মাঝেও তাঁর দৃঢ়চেতা মনোবল এবং অসীম সাহসীকতায় পদ্মা সেতু আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে। এই সেতু আমাদের গর্বের ও অহংকারের।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রায় ১০-১৫ লাখ মানুষের সমাগম হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিশাল এই জনসভায় আগত মানুষদের নিরাপত্তা এবং সুপেয় পানি ও স্যানিটেশনসহ সকল প্রকার সেবা প্রদানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগসহ অন্যান্য দপ্তর দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
মন্ত্রী জানান, স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর জনসভায় উপস্থিত মানুষের জন্য সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ও সুপেয় পানি সরবরাহের লক্ষ্যে সাবমার্সিবল পাম্পসহ দু’টি উৎপাদন নলকূপ স্থাপন, ১২ টি জলাধার স্থাপনের মাধ্যমে পাঁচশ’ টি ট্যাপের মাধ্যমে চলমান পাইপড ওয়াটার সাপ্লাই স্থাপন করবে।
এছাড়া, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের জন্য ৬০ হাজার বোতল পানি, ২০ টি ভিআইপি টয়লেট এবং জনসাধারণের জন্য চলমান পানিসহ পাঁচশ’ টয়লেট স্থাপন করা হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরও তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মন্ত্রী জানান, পদ্মাসেতু নির্মাণের ফলে দক্ষিণ বঙ্গের সাথে ঢাকাসহ অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ তৈরি হবে। শুধু দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নই নয় সারাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার ফলে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে এক দশমিক পাঁচ শতাংশ পাবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় জাতীয় সংসদের নুর-ই-আলম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসীন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সাইফুর রহমান ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: