
কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লা দক্ষিনাঞ্চলের লাকসাম, বরুড়া, লালমাই, নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা সর্বত্র ক্ষুদে হিংস্র প্রানী কাঠবিড়ালীর ভয়াবহ আক্রমনে অস্তিত্ব সংকটে পড়তে যাচ্ছে সবজি ও ফল-ফলাদি বাগান। ক্ষুদে হিংস্র এ প্রানীটি এখন শুধু এ সম্পদগুলোই খাচ্ছে না। বরং প্রতিনিয়ত খেয়ে যাচ্ছে এ অঞ্চলের কয়েকলাখ মানুষের স্বপ্নের প্রত্যাশাকে।
জেলা দক্ষিনাঞ্চল উপজেলাগুলোর একাধিক লোকজন জানায়, এ অঞ্চলে গ্রামীন ফলজ নারিকেল, ডাব, পেয়ারা, বরই, আমড়া, আতা ও আনার ফল-ফলাদি থেকে শুরু করে সীম, লাউ, কুমড়া ও শসা সহ নানান ধরনের সবজি ও ফল-ফলাদি খেয়ে নষ্ট করে ফেলছে।
ওই হিংস্র ক্ষুদে প্রানীটি প্রতি মিনিট সময়ে প্রায় ১০০/১৫০ ফুট লাফিয়ে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে এবং এক গাছ থেকে অন্য গাছে বেড়ানো কাঠবিড়ালীর গ্রামীন নাম ছলা হিসাবে সকলের কাছে পরিচিত নাম। তাদের ধরা যেমন কঠিন আবার মারার সকল কৌশল যেন আরো কঠিন।
প্রতিনিয়ত ওই প্রানীটির হিংস্র থাবায় সকালে প্রতিটি ফলজ ও সবজি গাছের তলে নষ্ট করা পন্যগুলো পড়ে থাকতে দেখা যায়। সবচেয়ে সারা বছরই নারিকেল ও ডাবের উপর ছাড়াও বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাসে আম, কাঠাল ও লিচু ফলনের উপর হিংস্রর তান্ডব চালায় ওই কাঠবিড়ালীর পাল।
সূত্রগুলো আরো জানায়, এ অঞ্চলের সারা বছরই গ্রামীন জনপদের বেশির ভাগ মানুষের ফলজ ও সবজি বাগানে এ হিংস্র প্রানীটির বসবাস। কাঠ বিড়ালির অত্যাচারে মানুষ হারাচ্ছে কয়েক লাখ টাকার স্বপ্নের ফলজ ও সবজি পণ্য। বিশেষ করে গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রধান অন্তরায় সৃষ্টি করে চলেছে এ ক্ষুদে হিংস্র প্রাণী কাঠবিড়ালী।
এ অঞ্চলের প্রতিটি গ্রামে বাড়ীতে বাড়ীতে ওইসব ফলজ ও সবজির বাগানে কাঠ বিড়ালীর দৌরাত্ব যেন থামছে না। ওদের প্রতিরোধে স্থাণীয় ভাবে কোন ব্যবস্থা না থাকায় অপূরনীয় ক্ষতির শিকার হচ্ছেন বাগান মালিকরা। প্রাথমিক ভাবে সাধারণ মানুষ হিংস্র কাঠ বিড়ালীর বেপরোয়া অত্যাচার থেকে বাগানের ফসল রক্ষার্থে টিন দিয়ে শব্দ বাজানোর মতো ফাঁদ তৈরি করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না।
একটা সময় কিন্তু এ ক্ষুদ্র প্রানীটি মানুষের আনাগোনাকে ভয় পেতো এবং সুযোগ বুঝে দিনের বেলায়ও ফল-ফলাদি এবং সবজি বাগানে রাজত্ব চালাতো কিন্তু বর্তমানে দিন কিংবা সারারাত ধরে তাদের অবাধ রাজত্ব চলে আসছে। কিছইু করার নেই মানুষের।
সারাবছর উৎপাদন হয় নানাহ জাতের মূল্যবান ফল-ফলাদি ও সবজি কিন্তু ওইসব ফসল চোখের পলকেই নির্বিচারে খেয়ে এবং নষ্ট করে ফেলছে কাঠবিড়ালী। ফলে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থের মুখে পড়তে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের।
এ ব্যাপারে জেলা-উপজেলা প্রানীসম্পদ, বন বিভাগ ও কৃষিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তার মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
ঢাকানিউজ২৪.কম / মশিউর রহমান সেলিম/কেএন
আপনার মতামত লিখুন: