• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ১৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় করতে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৬ আগষ্ট, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৭:০২ পিএম
নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় পদক্ষেপ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

নিউজ ডেস্ক : সরকার নিম্নবিত্ত ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার সকালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভার প্রারম্ভিক ভাষণে এ কথা বলেন তিনি। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে যে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে সেগুলোকে সহনীয় পর্যায়ে কীভাবে নিয়ে আসতে পারি; সেই ব্যবস্থা নেয়া আমাদের একান্তভাবে জরুরি। কারণ, মানুষের জন্যেই তো রাজনীতি করি। মানুষ কষ্ট পেলে আমারও কষ্ট হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, তেলের দাম বাড়ানোর ফলে নিত্যপণ্যের দামও বেড়ে গেছে। মানুষের কষ্ট হচ্ছে। যারা নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত বা ফিক্সড ইনকাম যাদের, নির্দিষ্ট আয়ে যাদের চলতে হয় তাদের বেশি কষ্ট হচ্ছে। এটা আমরা উপলব্ধি করতে পারি।

সাধারণের কষ্ট লাঘবে ১৫ টাকা কেজিতে ৫০ লাখ মানুষকে চাল কেনার সুবিধার পাশাপাশি প্রায় ১ কোটি ‘বিশেষ পারিবারিক কার্ড’ দিয়ে ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্য সরবরাহে সরকারের উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের এ ধরনের আরো কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে, যেন নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, সাধারণ মানুষগুলো কষ্ট না পায়।

শেখ হাসিনা বলেন, যখন বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় এবং একটু ভালোর দিকে যায় তখনই নানা রকম শঙ্কার সৃষ্টি হয়। তখন এটাকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য নানা চক্রান্তও শুরু হয়ে যায়। ‘কিন্তু মরার ওপর খাড়ার ঘা’ এই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।’

তিনি বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতার পর যখন একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে পড়ে তুলে একে স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হন, তখনই ’৭৫ এর ১৫ আগস্টের আঘাতটা আসে। যখন দেশের অগ্রগতির পথে অগ্রযাত্রা শুরু হলো তখনই আঘাতটা এলো।

’৭৪-এর দুর্ভিক্ষের প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, দেশ স্বাধীনের পর যখন দেশের মাটি ও মানুষ ছাড়া সম্পদ বলতে আর কিছুই ছিল না। সেই ’৭২ বা ’৭৩ সালে কিন্তু দুর্ভিক্ষ হয়নি। হয়েছে ’৭৪ সালে। নগদ অর্থ দিয়ে কেনা খাদ্যের জাহাজ বাংলাদেশে আসতে দেওয়া হয়নি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ গড়ার কাজে দিনরাত ব্যস্ত জাতির পিতাকে কোনো সময় যেমন দেওয়া হয়নি, তেমনই দেশ বিরোধীদের অপপ্রচার ছিল তুঙ্গে। নানা ধরনের প্রচারণা ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ এমনকি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও নির্বাচিত প্রতিনিধিদেরকেও হত্যা করা শুরু করে। পাবনা ও খুলনায় আমাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিকে হত্যা করা হয়।

তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং আর্থ-সামাজিক উন্নতি করাই ছিল তার লক্ষ্য।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী আবারও নিজেদের উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী ফেলে না রেখে সবাইকেই কিছু না কিছু উৎপাদন করতে হবে, যেন সাধারণ মানুষের জীবন কষ্টে না কাটে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image