
নিজস্ব প্রতিবেদক :
সব ভুল বুঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে আমেরিকা বাংলাদেশের সাথে সু সম্পর্ক রাখতে চায়, এনিয়েই মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিনিধির সাথে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাগত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, বুধবার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সিলর ডেরেক এইচ শোলে।
বৈঠকে কি আলোচনা হয়েছে এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,আমেরিকা বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক সু সংহত রাখতে চায়। দেশের নতুন নতুন সম্ভাবনার সাথে ও তারা যুক্ত হতে চায়। সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য গত সাত মাস ধরে মার্কিন কূটনীতিকরা বাংলাদেশে আসছেন। সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছেন।
বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের আমেরিকা ও কানাডায় নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় খুব উচ্চতম অবস্থানে রয়েছে।করোনা মহামারি সময়েও জিডিপি অনেক ভাল ছিল। তাই বাংলাদেশের সাথে বড় বড় দেশগুলো সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশ এখন খাদ্যে স্বংসম্পুর্ণ হয়েছে। পতিত থাকা কৃষিজমি চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসারে উদ্যোগের ফলে খাদ্য আমদানি কমেছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করায় এখন বছরে ৩ বিলিয়ন ডলারের আমদানি করতে হয়না। দেশ থেকে দরিদ্রতাও কমছে উল্লেখ করে মোমেন বলেন,বাংলাদেশ ২০৩০ সালে দারিদ্রমুক্ত দেশ হিসেবে পরিগণিত হবে। এ লক্ষ্যেই কাজ করছে সরকার।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এম আর
আপনার মতামত লিখুন: