ডেস্ক রিপোর্টার: সন্ধ্যামালতী, বনকুন্তলা, বেণুকা, রূপমঞ্জরীসহ বহু রাগের অনবদ্য পরিবেশনায় ছুটির দিনের সন্ধ্যায় মূর্ত হয়ে ওঠে দ্রোহ ও মানবতার কবি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। একই সঙ্গে রাগাশ্রয়ী গজল, ভজন আর প্রেমের গানে আসর অনন্য করে তোলেন শিল্পীরা। সুরের ধারা বইয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নৃত্যের শৈল্পিক মুদ্রায় শুক্রবারের সন্ধ্যাটি হয়ে ওঠে উপভোগ্য। এমন চিত্রই ছিল নজরুলজয়ন্তী উপলক্ষে ছায়ানটের দুই দিনের নজরুল উৎসবের শেষ দিনে।
রাজধানীর ছায়ানট মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কবির কবিতা ছাড়াও বিভিন্ন গানের অংশবিশেষ থেকে পাঠ করেন দেশবরেণ্য বাচিক শিল্পীরা। অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘চঞ্চল শ্যামল এলো গগনে’ গানের সঙ্গে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন ছায়ানটের শিল্পীরা। পরে ‘নবরাগ’ গীতি-আলেখ্য পর্বে নজরুলের রাগাশ্রয়ী গানগুলোর অংশবিশেষ পাঠ করেন জহিরুল হক খান।
সমাপনী আসরে সংগীত পরিবেশন করেন শাহীন সামাদ, প্রমিতা দে, ইয়াকুব আলী খান, বিভাস রঞ্জন মৈত্র, ধ্রুব সরকার, নাহিয়ান দুরদানা শুচি, মনীষ সরকার, কানিজ হুসনা আহম্মদ, বিটু কুমার শীল, অনামিকা সরকার সোমা, সুস্মিতা দেবনাথ শুচি, রেজাউল করিম, মিরাজুল জান্নাত সোনিয়া ও সুমন মজুমদার। ‘পায়েলা বোলে রিনিঝিনি’ গানের সঙ্গে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন ওয়ার্দা রিহাব ও তাঁর দল। কবিতা আবৃত্তি করেন নাসরিন আক্তার রেখা ও হাসিব বিল্লাহ্। এতে আরও ছিল শিশুশিল্পীদের পরিবেশনা।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: