
বখতিয়ার রহমান, পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি : রংপুরের পীরগঞ্জে সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার অভাবে করতোয়া নদী থেকে দিবারাত্রী অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন ও হরিলুট চলছ্ইে। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপই গ্রহন করছেন না। ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের পাশাপাশী সরকারেরও মোটা অংকের রাজস্ব হারানোর সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে ।
এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার চতরা এলাকার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত করতোয়া নদী থেকে এলাকার কিছু সংখ্যক ব্যাক্তি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন নির্মানাধীন ৪ লেন এর মহাসড়কে। নিষিদ্ধ ড্রামট্রাক যোগে এসব বালু সরবরাহের মাধ্যমে প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।
উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের সব ক’টি রাস্তা যোগে এই বালু পরিবহন করায় ওই এলাকায় আন্তঃ যোগাযোগ অনেকটাই নাজুক হয়ে পড়েছে। চতরা ইউনিয়নের কুয়েতপুর ও পার কুয়েতপুর গ্রামের টোংরারদহ ও ন্যংড়ারঘাট নামক স্থানে সংঘবদ্ধ বালু উত্তোলন কারীরা বোমা ও ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনে যেন প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছে। কেউ প্রতিবাদ করলেই হামলা মামলার শিকার হচ্ছেন। অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে রাস্তা, ঘাট, ফসলী জমি, বাড়ী ঘর ভাঙ্গলেও অনেকটাই অসহায় হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
এভাবেই এ বালু উত্তোলন চলছে প্রায় ৩ বছর ধরে। ইাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক’জন এলাকাবাসীর মতে ইতিপুর্বে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের পক্ষে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হলেও গত ২ বছর ধওে রহস্যজনক কারনে তা বন্ধ রয়েছে । আর যে কারনে নির্বিগ্নে অবৈধ ভাবে এ বালু উত্তোলন অব্যহত রয়েছে ।
এ ব্যাপারে চতরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহীন বলেন, কাকে কি বলবো সবাই আমার লোক ? বালু লুটের এই মহাযজ্ঞে স্থানীয় তহসীলদার নুর আলমও জড়িত মর্মে অভিযোগ রয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: