ডেস্ক রিপোর্টার: সারাবিশ্বেই সমুদ্রসৈকতের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় খ্যাতি রয়েছে পর্তুগালের। দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য, নিরাপত্তাসহ স্বল্প খরচ ও বিভিন্ন সুবিধা বিবেচনায় প্রতি বছর কয়েক লাখ পর্যটকের গন্তব্য দেশটির অসংখ্য সমুদ্রসৈকত। গ্রীষ্মের ছুটি বা অবসরে পর্তুগাল তো বটেই ইউরোপ আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিরাও ছুটে যান এসব সমুদ্রসৈকতে।
বাস স্টপ বা ট্রেন স্টেশন থেকে নেমে সারি সারি ম্যাপল গাছের ছায়াঘেরা পথ ধরে কয়েক মিনিট হাটলেই দৃষ্টিনন্দন সমুদ্রসৈকত 'কারকাভেলোস'। যারা ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে আসতে চান তাদের জন্যে সি বিচের ঠিক পাশেই রয়েছে বিশাল পার্কিং ব্যবস্থা। এতেই হয়তো প্রাথমিক ভাবে পর্তুগালের সি বিচ বা সমুদ্রসৈকত ব্যবস্থাপনার প্রাথমিক চিত্র পাওয়া যেতে পারে। দেশটির অধিকাংশ সমুদ্রসৈকতে যাতায়াতের জন্য রয়েছে এমনই সুবিধা।
পর্তুগালের পর্যটননির্ভর অর্থনীতির একটি বড় খাত সমুদ্রসৈকত। প্রতি বছর গ্রীষ্মকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের পক্ষে সৈকত ব্যবস্থাপনায় দেখা যায় বাড়তি তৎপরতা। ফলে মৌসুমের শুরুতেই দেখা দিয়েছে সৈকতে উপচেপড়া ভিড়।
পর্তুগালের প্রায় সবকটি সমুদ্রসৈকতের তীরঘেঁষে গড়ে তোলা হয়েছে সুপরিকল্পিত অবকাঠামো। মুখরোচক বিভিন্ন খাবারের রেস্তোরাঁ, বিনামূল্যে পাবলিক টয়লেট বা গোসলের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে রয়েছে এটিএম বুথও। তাছাড়া পরিচ্ছন্নতার প্রশ্নে এক চুলও ছাড় নেই প্রশাসনের। যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বা দুর্ঘটনা এড়াতে তৎপরতা রয়েছে কর্তৃপক্ষের।
এ বছর মৌসুমের শুরু থেকেই সমুদ্রসৈকতগুলোতে ভিড় বেড়েছে পর্যটকদের। এসেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সার্ফাররাও। অনেক প্রবাসীরা অবসরে পরিবার নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন সমুদ্রস্নানে। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় মুগ্ধ তারা।
একজন পর্যটক বলেন, আমরা ছুটির দিনে সৈকতে এসে মজা করি। আরেকজন বলেন, এখানে গরম আবহাওয়াই আপনাকে পানি খেতে হবে। এগুলোর জন্য এখানে বাড়তি খরচের প্রয়োজন নেই। সৈকতে নিরাপদ পানির ব্যবস্থা আছে। এ ছাড়া সৈকতে রয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ছোট বড় মিলিয়ে পুরো পর্তুগালের মোট ৮৫০ কিলোমিটার সমুদ্রসৈকতে রয়েছে পর্যটকদের পদচারণা। প্রত্যেকটি সমুদ্রসৈকতেরই রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন রূপ।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: