মনিরুজ্জামান মনির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ অ্যাম্বুলেন্সে তুলে কিশোরীকে ধর্ষণ, চালককে গ্রেপ্তার করেছেে পুলিশ। ওই কিশোরীকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তুলে নিয়ে চালক জীবন মিয়া (৩২) ধর্ষণ করে বলে থানায় করা মামলা সূত্রে জানা গেছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের পৌর এলাকার পশ্চিম পাইকপাড়ার বোডিং মাঠ এলাকায়। গ্রেপ্তারকৃত জীবন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পশ্চিম মেড্ডার শাহবুদ্দিনের ছেলে।
রোববার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহিম আকন্দ এ তথ্য জানান।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরী (১৩) তার নানির সঙ্গে জেলার সরাইল উপজেলার দেওড়া গ্রামে বসবাস করে। বর্তমানে নানি-নাতনি জেলা শহরের পশ্চিম মেড্ডায় পৃথক বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেন। শনিবার (১ অক্টোবর) ভোরে পশ্চিম মেড্ডায় কিশোরী বাসা থেকে বের হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল।
এ অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্স চালক জীবন জোর করে তাকে তুলে নেন। সেখান থেকে পৌর এলাকার পশ্চিম পাইকপাড়ায় বোডিং মাঠ এলাকায় এনে তাকে ধর্ষণ করেন। ঘটনার পর পরই ওই এলাকায় অন্য একটি অভিযানে বের হয় সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ইব্রাহিম আকন্দ। এ সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে পেয়ে বিষয়টি জানালে, তাদের সহায়তায় জীবনকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহিম আকন্দ বলেন, আমি একটি চুরির মামলার বিষয়ে ওই এলাকায় গিয়েছিলাম।
এসময় ১৩/১৪ বছরের তিন কিশোর আমাকে জানায়, একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে একটি মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে গেছে। তাদের সহযোগিতায় প্রথমে অ্যাম্বুলেন্স চালককে আটক করি,পরে কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, কিশোরীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধারের পরই ধারণা করা হচ্ছিল তাকে যৌন নিপীড়ন করা হয়েছে। পরে সে জানায় অ্যাম্বুলেন্স চালক তাকে দুইবার ধর্ষণ করেছে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরাও জানান শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে। দুপুরে শিশুটির নানী বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে অভিযুক্তকে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আলামত হিসেবে অ্যাম্বুলেন্সটি জব্দ করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: