নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনের অবরুদ্ধ বন্দরনগরী মারিওপোলে দেশটির সেনারা আত্মসমর্পণ করলে গোলাবর্ষণ বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
মঙ্গলবার রাতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন পুতিন। তাদের আলাপ প্রায় এক ঘণ্টা স্থায়ী হয়। এ সময় পুতিন ম্যাক্রোঁকে এ কথা বলেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ক্রেমলিন। খবর বিবিসির।
ফরাসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই শহর থেকে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা বিবেচনা করার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া নতুন ছবিতে মারিওপোলের ধ্বংসযজ্ঞ সামনে আসার পর এ খবর মিলল।
পৃথিবী পর্যবেক্ষণ সংস্থা ম্যাক্সারের প্রকাশ করা এক ছবিতে দেখা যায়, প্রায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে মারিওপোলের আবাসিক এলাকা। অপর এক ছবিতে দেখা যায়, রাশিয়ার কামানগুলো শহরের বাইরে গোলাবর্ষণের জন্য অপেক্ষা করছে।
এলিসি প্রাসাদের কর্মকর্তারা মারিওপোলের পরিস্থিতিকে ‘বিপর্যয়কর’ হিসেবে অভিহিত করেছে। এ পরিস্থিতিতে শহরটি থেকে বেসামরিক মানুষদের সরিয়ে নিতে পুতিনের কাছে একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে ফ্রান্স, তুরস্ক, গ্রিস ও বেশ কয়েকটি সংস্থা।
ফরাসি কর্মকর্তারা বলছেন, পুতিন ম্যাক্রোঁকে এ প্রস্তাবের বিষয়ে ‘ভেবে দেখবেন’ বলে জানিয়েছেন। তবে ক্রেমলিন বলছে, পুতিন এ ধরনের কোনো আশ্বাস দেননি।
রাশিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন, পুতিন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে বলেছেন, ওই শহরের জটিল মানবিক পরিস্থিতি সমাধানে ইউক্রেনের সশস্ত্র জাতীয়তাবাদীদের প্রতিরোধ বন্ধের পাশাপাশি অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, পুতিন ফরাসি প্রেসিডেন্টকে ওই শহরে মানবিক সহায়তা দেওয়া এবং নিরাপদে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে রাশিয়ার সেনাদের কার্যক্রম বিস্তারিত তুলে ধরেন। এদিকে ইউক্রেনের অভিযোগ, মারিওপোল শহর থেকে রাশিয়া জোরপূর্বক হাজার হাজার মানুষকে মস্কো নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সরিয়ে নিচ্ছে।
মারিওপোলের মেয়র ভাদিম বয়চেঙ্কোর দাবি, এ বন্দরনগরীতে রাশিয়ার হামলায় পাঁচ হাজারের মতো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২১০ জন শিশুও রয়েছে। ইউক্রেনে জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস মিশনের প্রধান মাতিলদা বোগনার রয়টার্সকে বলেন, আমি বিশ্বাস করি ‘মারিওপোলে হাজারো বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে’।
২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর থেকে মারিওপোলে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে দেশটির সেনারা। এ শহরটি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারলে মস্কো কৌশলগতভাবে বেশ সুবিধা পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: