
নিউজ ডেস্ক : শুক্লপক্ষ বা দেবীপক্ষের সূচনা এবং কৃষ্ণপক্ষের অবসান, আজ মহালয়া। শনিবার (১৪ অক্টোবর) দেবীপক্ষের শুরু হওয়ার তিথি প্রকৃতিতে জানান দিল, দেবী দুর্গার মর্ত্যে আসার আগমনী বার্তা।
শ্রীশ্রী চণ্ডীপাঠের মধ্যদিয়ে দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত। ভোরে ‘চণ্ডী’ পাঠের মাধ্যমে দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা দিয়ে শুরু হয় মাতৃবন্দনা।
পুরাণে বলা হয়েছে, যে ক্ষণে পরমাত্মায় অর্থাৎ পরব্রহ্মে লয় প্রাপ্তি ঘটে সেটিই হল মহালয়। শ্রী শ্রী চণ্ডিতে মহালয়া হচ্ছে পূজা বা উৎসবের আলয়। এখানে আলয় শব্দটির একটি অর্থ হচ্ছে আশ্রয়। চণ্ডিতে তাই ‘মহালয়’ বলতে ‘পিতৃলোককে’ বোঝানো হয়েছে। পিতৃলোককে স্মরণের ক্ষণকেই বলা হয়েছে মহালয়া। আর ব্যাসদেব মহাভারতে লিখেছেন, পিতৃলোককে স্মরণের অনুষ্ঠানই হলো মহালয়া।
মহালয়া শুরুর এক সপ্তাহের মধ্যেই শুরু হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ মুহূর্তে মণ্ডপগুলোতে চলছে দুর্গা প্রতিমা তৈরির শেষ সময়ের ব্যস্ততা। আগামী ২০ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্যদিয়ে শুরু হবে দুর্গাপূজা। আর ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গোৎসব।
শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, পিতৃপক্ষের অবসানে, অমাবস্যার অন্ধকার পেরিয়ে আমরা আলোকোজ্জ্বল দেবীপক্ষকে আগমন করি, তাই সেই মহা লগ্ন আমাদের জীবনে ‘মহালয়া’। এক্ষেত্রে দেবী দুর্গাকেই সেই মহান আশ্রয় বলা হয়ে থাকে এবং আঁধার থেকে আলোকে উত্তরণের লগ্নটিকে বলা হয় মহালয়া।
পূজা উদযাপন কমিটি জানিয়েছে এবার ঢাকা মহানগরীতে ২৪৫টিসহ সারাদেশে ৩২ হাজার ৪০৮টি মন্দিরে দুর্গাপূজা হবে। এ হিসেবে গত বছরের চেয়ে এ বছর ২৪০টি বেশি পূজা মণ্ডপ হচ্ছে সারা দেশে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে মণ্ডপে নিরাপত্তা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে পূজা উদযাপন কমিটি।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: