
সোহানুর রহমান (সোহান), ভৈরব, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবে শিবপুর ইউনিয়নের পানাউল্লারচর ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের পার্শ্বে ও ভৈরবের বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং পৌর এলাকায় সারি সারি খেজুর গাছ। টাটকা রস গাছ থেকে নামিয়ে আনা হয়। মহাসড়কের পার্শ্বে বাইসাইকেলে করে চলে কেনাবেচা। কেউ আবার সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছে পরিবার পরিজনের জন্য। আবার কেউ কেউ সেইখানেই বসে গাসের টাটকা খেজুরের রস পান করছে ।
শনিবার কুয়াশাচ্ছন্ন ভোর বেলায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় শত শত মানুষ ভিড় করে খেজুরের রস কিনছে। গাছের টাটকা খেজুরের রসে এমন বিকিকিনি চলায় পুরো এলাকা এখন ভোর বেলা সরব থাকে। আশপাশে বাসিন্দারা জানিয়েছেন প্রথম দিন রস সংগ্রহ করার খবর পাওয়ার পর দিন থেকে ভৈরব পৌর এলাকাসহ দুর দুরান্তের মানুষ ভোর পাঁচটা থেকে ঘন্টা খানেক অপেক্ষা করে রস কিনছে প্রতি লিটার ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক গ্লাস রস খুচরা ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভোরবেলায় বিভাটেক রিক্সা দিয়ে এম.আর সোহেল তার একমাত্র ছেলেকে নিয়ে খেজুর রস খেতে এসেছেন। তিনি প্রতিনিধিকে বলেন, আজ থেকে চল্লিশ বৎসর আগে আমি আমার বাবার সাথে পুবাইলে খেজুরের টাটকা রস খেয়েছিলাম। অনেক দিন পর আমি আমার ছেলেকে নিয়ে আসলাম খেজুর রস খেতে খুব ভালো লাগছে।
রস সংগ্রহ ও বিক্রির কাজটি করছেন ভৈরবে শম্ভুপুর গ্রামের ফরিদ মিয়া, তিনি ২২ বৎসর যাবৎ এই কাজ করছেন। তিনি জানান, রস সংগ্রহ করে বিক্রি করে প্রতিদিন তিন থেকে চার হাজার টাকা আয় হয় । নির্ভেজাল রসের চাহিদা বেশী হওয়ায় দাম ও ভালো পাচ্ছি এবং ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।
নিপাহ ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে মাটির কলসির মুখে জাল বা কাপড় বেধে দেন যাতে করে বাদুড় সহ যে কোন পাখি সেই গাছের রস পানে বাধা পায়।
এই বিষয়ে খেজুর গাছের রস সংগ্রহ নিয়ে ভৈরব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম জানান বাণিজ্য নগরী ভৈরবের পরিবেশ ও মাটি খুবই ভাল যা খেজুর গাছের জন্য উপযোগী। খেজুরের রস যেন শীতের একটা আমেজে পরিণত হয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: