আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত সোমবার পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করলেও দেশটির পার্লামেন্টের স্পীকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধনে বুধবার জনসমক্ষে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগপত্র জাতির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করার কথা রয়েছে। স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংকটে থাকা দেশটির সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জন্য এই পরিবারকেই দায়ী করছেন শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষ। শনিবার বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট ভবনের দখল নেয়ার পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন গোতাবায়া।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার কয়েকঘণ্টা আগে দেশ ছেড়ে পালানোর পর এই ঘোষণা আসল।
এদিকে, বিক্ষোভকারীরা দেশটির প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল ছোড়ে। এর আগে, বুধবার ভোরে সামরিক বিমানে করে মালদ্বীপে পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে। এসময় তার স্ত্রী এবং দেহরক্ষীরাও সাথে ছিলেন। নতুন সরকারের হাতে গ্রেপ্তার এড়াতেই প্রেসিডেন্ট পদে থেকে দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এদিকে কয়েকবারের ব্যর্থ চেষ্টার পর একইদিনে দেশ ছেড়ে পালাতে পেরেছেন গোতাবায়ার ভাই শ্রীলঙ্কার সাবেক অর্থমন্ত্রী বাসিল রাজাপাকসেও। আর এর সাথেই শ্রীলঙ্কায় প্রভাবশালী রাজাপাকসে ভাইদের প্রায় দুই দশকের পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির পতন ঘটেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে গোতাবায়ার দেশত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর কলম্বোতে উৎসব করেছেন বিক্ষোভকারীরা। তার পদত্যাগকে সামনে রেখে কয়েকদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজধানীতে জমায়েত হচ্ছিলেন তারা।
প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের দেশ ত্যাগের পর শ্রীলঙ্কায় আবারও জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমাসিংহে। এছাড়াও দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশে জারি করা হয়েছে কারফিউ।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: