• ঢাকা
  • রবিবার, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

সিলেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম এখনও অস্থিতিশীল


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ১০ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০১:৫৭ পিএম
সিলেটে দাম এখনও অস্থিতিশীল
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস

সিলেট প্রতিনিধি : সিলেটে দীর্ঘ দিন ধরে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়তি থাকলেও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর থেকে লাগামহীন হয়ে পড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। অস্থিতিশীল বাজার এখনো হয়নি স্থিতিশীল। সরকার পতন হলেও এখনো নিয়ন্ত্রণহীণ অসংখ্য পণ্যের দাম। এ অবস্থায় সিলেট মহানগরীতে বাজার মনিটরিং করছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত থাকা শিক্ষার্থীরা।

বাজার ঘুরে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সহিংসতার মধ্যে কাঁচা মরিচের কেজি উঠেছিল ৪০০ টাকার ওপরে। এখনো কাঁচা মরিচের ঝাঁঝ কমেনি। বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকায়। তবে বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, উৎপাদনস্থলেও কম দামে কাঁচামাল বিক্রি হচ্ছে। আবার পণ্য পরিবহনে গত কয়েক দিনে ব্যবসায়ীদের কোনো চাঁদা দিতে হচ্ছে না। এসব কারণে সবজির দাম কমেছে।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, বাজারে বেশির ভাগ সবজির কেজি এখন ৫০-৭০ টাকার আশপাশে। অথচ সপ্তাহ খানেক আগেও যা ছিল ১০০ টাকার কাছাকাছি। সকালে বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

দেখা যায়, বিভিন্ন সবজি পণ্যের মধ্যে প্রতি কেজি পটোল, ঢ্যাঁড়স, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, ধুন্দল ও পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা দরে। আর লাউ, কাঁকরোল, করলা, বেগুন ও বরবটি কেনা যাচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়।
ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন বাদামি ডিম ১৫০ টাকা ও সাদা ডিম ১৪৫ টাকা দরে কিনেছেন ক্রেতারা। অবশ্য আলু, পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম আগের মতোই নাগালের বাইরে রয়েছে। প্রতি কেজি আলু ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকা, আদা (চায়না) ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা ও রসুন (আমদানি) ২২০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত মাসে চালের দাম কেজি প্রতি তিন থেকে পাঁচ টাকা করে বেড়েছিল। সেই দাম এখনো কমেনি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

বাজারে এক বেসরকারী চাকুরীজীবীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, বাজারে জিনিসপত্রের দাম তো সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এত দিন দাম বৃদ্ধির জন্য সিন্ডিকেটকে দায়ী করা হতো। এখন শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তন এসেছে। আশা করছি, দাম কমে আসবে।

বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মো. ইমরান মাস্টার বলেন, রাস্তাঘাটে এখন চাঁদাবাজি নেই। তবে সহিংসতা ও ডাকাতির আশঙ্কায় পণ্য পরিবহনে রাজি হচ্ছেন না অনেক ট্রাকচালক। ফলে বিভিন্ন উৎপাদনস্থল বা মোকামে ক্রেতার সংখ্যা কমেছে। এখন আস্তে আস্তে দাম কমে আসবে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image