জাফর আলম, কক্সবাজার: ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সেন্টমার্টিন দ্বীপে দমকা হাওয়া বাড়তে শুরু করেছে। রবিবার (১৪ মে) সকালে দ্বীপটিতে বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বইছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, মধ্যরাত থেকে হালকা বাতাস ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। সকালে দমকা হাওয়া বইতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে বৃষ্টিও বেড়েছে।
তিনি জানান, সাগর উত্তাল রয়েছে। জোয়ারের পানিও বেড়েছে।এই ঝড়ের কারণে গতকাল শনিবার সেন্ট মার্টিনের যেসব বাসিন্দা আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছিলেন, তারা এখনো সেখানে রয়েছেন বলে জানান তিনি ।
শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ের সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং এর কাছাকাছি দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।এই ঝড় নিয়ে উৎকণ্ঠার এক রাত পার করেছেন সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বাসিন্দারা। দ্বীপের বিভিন্ন গ্রাম থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেওয়া লোকজন আতঙ্কে সময় পার করছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া আকারে ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।মধ্যরাতেই উপকূলে এই ঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব পড়তে শুরু করে। এর ফলে রাতেই কক্সবাজার শহর, সেন্টমার্টিন, টেকনাফ ছাড়াও ভোলার মনপুরা, চরফ্যাশনসহ দ্বীপ ও চরাঞ্চলে হালকা বাতাস ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। সকালে টেকনাফ এলাকায়ও দমকা হাওয়া বইতে শুরু করেছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: