নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) উদ্যোগে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা বিষয়ক গণশুনানী ঢাকার তেজগাঁওয়ে বিআরটিসি ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী, সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, করোনা মহামারীর সময়ে বিআরটিসি সারাদেশে যাত্রীসেবা ও পন্য পরিবহনের কাজে সম্পৃক্ত ছিল। আমরা বিভিন্ন ব্যাংক, সরকারী অফিস, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মহিলাদের পরিবহনের জন্য বিশেষ বাসসেবা চালু করেছি। মহিলা, পিছিয়ে পড়া হিজড়া জনগোষ্ঠী, পদ্মা সেতুর কারনে ক্ষতিগ্রস্থ যুব সমাজকে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। তারা আজ সমাজে স্বাবলম্বী।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেশের পর্যটনকে উৎসাহিত করার জন্য পর্যটন স্পটগুলিকে কেন্দ্র করে ঢাকা-কক্সবাজার, ঢাকা-বান্দরবন, ঢাকা-কুয়াকাটা রোডে নুতন লাইন চালু করার উদ্যোগ নিয়েছি। পদ্মা সেতুর পশ্চিম প্রান্তে ডিপু নির্মাণ ও ট্রেনিং সেন্টার স্থাপনের জন্য জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বিআরটিসি কর্মচারীরা নিজে কাজ করে নিজের বেতন নিয়ে প্রতিষ্ঠানকে বাঁচিয়ে রেখেছে। ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টারের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে। ড্রাইভারদের ট্রেনিং মেনু্য়াল তৈরী করার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি। ড্রাইভারদের ট্রেনিং ব্যবস্থা করে ভালো ড্রাইভার বানাতে চাই। যারা দেশে-বিদেশে কাজ করে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করবে।
বিআরটিসি চেয়ারম্যান জনাব নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, বিআরটিসির ড্রাইভিং লাইলেন্স নবায়ন ও নতুন লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের জটিলতার অবসান হয়েছে। করোনা ও অন্যান্য কারণে লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে জট সৃষ্টি হয়েছিল। সেনাবাহিনীর কর্তৃক পরিচালিত BMTF এর মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স/ কার্ড প্রিন্ট করে দ্রুত সময়ের মধ্যে ড্রাইভার ও গ্রাহকের হাতে বিতরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে দালালদের কাছে হয়রানীর শিকার হতে না হয়। নতুন ড্রাইভিং কোর্স চালুর কয়েক দিনের মধ্যে লারনারস লাইসেন্স করার উদ্যোগ নিতে বলেছি।
এখন থেকে আগ্রহী ব্যক্তি ফরম ফিলাপের পর নির্ধারিত কেন্দ্রে এসে পরীক্ষা দেবেন এবং ফিংগার যাচাই এর মাধ্যমে বাড়ীতে বসে ডাক যোগে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে পারেন। আগের মত মাসের পর মাস বিআরটিএ অফিসে ধরনা দিতে হবে না।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কর্ণেল জাহিদ হোসেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিআরটিসি, একেএম খলিলুজ জামান, অতিরিক্ত সচিব, সড়ক বিভাগ, মনিন্দ্র কিশোর, যুগ্ম সচিব, সড়ক বিভাগ। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ, সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও সড়ক পরিবহনের কর্পোরেশনের কর্মচারী-কর্মকর্তাগণ বিআরটিসির সেবা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। প্রশ্নের উত্তর দেন সড়ক পরিবহনের কর্পোরেশনের সচিব ও চেয়ারম্যান।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: