• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৮ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদীর ২৫ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ১৯ জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০১:২৬ পিএম
২৫ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বৃষ্টি না হওয়ায় ও পাহাড়ি ঢলের পানি উজানে কমায় বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে।

শনিবার (১৮ জুন) সকাল থেকে ভাটিতে পানি বাড়ায় উপজেলার হাতিবান্ধা ও মালিঝিকান্দা ইউনিয়ন এবং শ্রীবরদী উপজেলার রাণীশিমুল ও সিঙ্গাবরুণা ইউনিয়নের ২৫ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের হাজারো মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন।

এদিন দুপুরে জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত ঝিনাইগাতী উপজেলা  ও নালিতাবাড়ি উপজেলার কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন। এ সময় তিনি বলেন, মহারশি নদীতে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন তিনি।

উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে ঝিনাইগাতীর মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর পানি উজানে কমতে থাকে। কিন্তু ভাটি এলাকায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শুক্রবার রাত থেকে উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের হাঁসলিগাঁও, জুলগাঁও, রাঙ্গামাটিয়া ও দেবোত্তরপাড়া এবং হাতিবান্ধা ইউনিয়নের হাতিবান্ধা, ঘাগড়া, বেলতৈল, মারুয়াপাড়া, কামারপাড়া ও সরকারপাড়া গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার অধিকাংশ বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে ও বিপুল সংখ্যক মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানেরা জানিয়েছেন।

অপরদিকে পাহাড়ি ঢলের পানিতে শ্রীবরদী উপজেলার রাণীশিমুল ইউনিয়নের চক্রপুর, শিমুলকুচি, আসান্দিপাড়া, টেঙ্গরপাড়া ও বালুরচর এবং সিঙ্গাবরুণা ইউনিয়নের বড়ইকুচি, মাটিফাটা, সিঙ্গাবরুণা, চুকচুকি, জলঙ্গাপাড়া গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফলে হাজারো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এসব গ্রামের শতাধিক মৎস্যখামার, দোকানপাট, আমন বীজতলা, সবজি আবাদ ও গ্রামীণ সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

শ্রীবরদীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা আক্তার বলেন, পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি এলাকা তিনি পরিদর্শন করেছেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ চলছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে আর্থিক সহায়তা, শুকনো খাবার ও চাল বিতরণ করা হবে।

ঝিনাইগাতীর ইউএনও ফারুক আল মাসুদ বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ১৫ মেট্রিক টন খয়রাতি (জিআর) চাল ও ৪০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। আরো ২০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হবে।

 জাহিদুল হক মনির

 

ঢাকানিউজ২৪.কম / মোঃ জাহিদুল ইসলাম /কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image