• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

বাকেরগঞ্জে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল মাপে কম দেয়ার মহোৎসব 


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০১:১৫ পিএম
খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল মাপে কম
খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল

মোঃ জাহিদুল ইসলাম, বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি, বরিশাল:  বাকেরগঞ্জ উপজেলায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৭ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন ইউনিয়নের ডিলার পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায় চাল মাপে কম দেয়া হচ্ছে। 

প্রকৃত দরিদ্ররা এর সুবিধা পাচ্ছে না। দেশের অতি দরিদ্র পরিবারের খাদ্য সমস্যার কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ১০ টাকা কেজিতে চাল বিক্রি শুরু করে বর্তমানে সরকারের নির্দেশে ৫ টাকা কেজিতে বৃদ্ধি করে ১৫ টাকা দরে চাল বিক্রয় কার্যক্রম চলছে। এর মাধ্যমে গ্রামের হতদরিদ্ররা অভাবের সময়ে কম দামে চাল ক্রায় করতে পারছে। 

সরেজমিনে  অনুসন্ধানে দেখা গেছে এর সুবিধা পাচ্ছে  অনেক সচ্ছল ব্যাক্তি ও চেয়ারম্যান-মেম্বারদের আত্মীয়স্বজনরা। অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে প্রকৃত দরিদ্ররা এর সুবিধা পাচ্ছে না। বাকেরগঞ্জ নিয়ামতি ইউনিয়নের চাল বিক্রির ডিলার পয়েন্টে গেলে দেখা যায় ডিলার নাসির আকন গ্রাহকদের ৩০ কেজি চাল না দিয়ে ২৭/২৮ কেজি করে চাল দিচ্ছেন। একই চিত্র উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে। গ্রাহক প্রতি কার্ডে ৩০ কেজি চালের দাম দিলেও তাকে দেয়া হচ্ছে ২৭/২৮ কেজি একদিকে চাল কম অন্য দিকে ৩ কেজির মুল্য হিসেবে নেয়া হচ্ছে ৪৫ টাকা। ডিলার যেমন চাল চুরি করছে তেমনি প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছেন গরীব অসহায়দের টাকা। পাদ্রিশীবপুর, রঙ্গশ্রী, নিয়ামতি,ভরপাশা,গারুড়িয়া, কলসকাঠি ইউনিয়নগুলোতে চাল বিক্রির ডিলার পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায় ট্যাগ অফিসারের অনুপুস্থিতিতে চাল বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়াও ডিলারদের যে সকল নির্ধারিত স্থানের চাল গুদামজাত করে বিক্রি করার কথা তা অনেকেই মানছেন না। নিজেদের ইচ্ছামত কেউ কেউ বাড়িতে গুদামজাত করে চাল বিক্রি করছেন। এতে কালো বাজারে চাল বিক্রির সুযোগ পাচ্ছেন তারা।

সরকারের এ কর্মসূচির উদ্দেশ্য মহৎ হলেও একশ্রেণির দুর্নীতিবাজের কারণে তা পুরোপুরি কার্যকর হচ্ছে না। যাদের জন্য এ কর্মসূচি, তারাও উপকার পাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের দৃষ্টি দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল জানান, আমার কাছেও অভিযোগ এসেছে। নিয়ামতি ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে কথা হয়েছে। অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের ডিলারশিপ বাদ দেয়া হবে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image