• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

সিলেট নগরীতে বেড়েছে লাগামহীন মশার উপদ্রব


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ০২ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৪:১১ পিএম
সিলেট নগরীতে বেড়েছে লাগামহীন
মশার উপদ্রব

আবুল কাশেম রুমন, সিলেট : সিলেট নগরীতে বেড়েছে লাগামহীন মশার উপদ্রব। সন্ধ্যা থেকে মশার আক্রমণে ঘরে বাইরে টেকা দায়। খোলা জায়গায় আরো বেশি। মশা মারতে সিটি করর্পোরেশেন কোন কোন এলাকায় ওষুধ ছিটানো হলেও তাতে খুব একটা কাজ হয় না বলে অভিযোগ অনেকের।

সিটি করপোরেশন মশা নিয়ন্ত্রণে ওষুধ ছিটানোর দাবি করলেও নগরবাসী তা মানতে নারাজ। বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই নগরীজুড়ে বেড়েছে মশার উপদ্রব। অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। বাসা বাড়িতে মশারি, কয়েল  ¯েপ্র ও ম্যাজিক ব্যাট ব্যবহার করে মশা থেকে নিস্তার পাওয়ার চেষ্টা করছে নগরবাসীর মানুষগন। উপশহর, যতরপুর, সোনারপাড়া, শিবগঞ্জ, মেন্দিবাগ, মাছিমপুর, ছড়ারপার, সুবিদবাজার, কদমতলী, হবিনন্দি, গঙ্গানগর সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষের অভিযোগ, সিটি করর্পোরেশন থেকে ওষুধ ছিটানো হয় না। আর হলেও তা নামকামাত্র। মশানিধন কর্মীরা বলছেন, ড্রেন ও খাল গুলো অপরিষ্কার থাকায় নিয়মিত ওষুধ ছিটানোর পরও মশা কমছে না।

নগরবাসীর অভিযোগ, সিটি করর্পোরেশনের (সিসিক) অধিকাংশ নালা-নর্দমা ও খাল নিয়মিত পরিষ্কার না করায় মশার প্রজননস্থলে পরিণত হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তির পাশাপাশি মানুষের দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। ঘরোয়া ভাবে মশা তাড়ানোর কোনো ফর্মুলাই কাজে আসছে না। দিনে দিনে পরিস্থিতি অসহনীয় হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে নগরবাসীর। তবে মশা নিধন কার্যক্রম চলমান বলে দাবি সিসিকের।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, ঋতু পরিবর্তনের সময় স্বাভাবিক ভাবে মশার উপদ্রব বাড়ে। জনবল সংকটের কারণে একযোগে পুরো নগরীতে অভিযান করা যাচ্ছে না। ফলে ওষুধ ছিটিয়েও কাঙ্খিত ফল মিলছে না। বিচ্ছিন্ন ভাবে ওষুধ ছিটিয়ে মশার যন্ত্রণা থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজন একযোগে পুরো নগরীতে ওষুধ ছিটানো ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানো। এ ছাড়া অন্তত ১০ দিন অন্তত মশার প্রজননের স্থান গুলোতে ওষুধ ছিটাতে হবে। তাহলে মশার উপদ্রব কমানো সম্ভব হবে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image