নিউজ ডেস্ক : আমাদের অবশ্যই আন্তর্জাতিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে হবে এবং আমাদের জনগণের স্বাস্থ্য এবং শিক্ষার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সম্পদ ব্যবহার করতে হবে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে উদ্যোগ নিতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অস্ত্রের প্রতিযোগিতা বন্ধ করে সব মানুষের স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে।
দরিদ্রদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে ইনসুলিন এবং জীবন রক্ষাকারী অন্যান্য ওষুধ-সুবিধা নিশ্চিত করতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন বলেও মনে করেন সরকারপ্রধান।
ডায়াবেটিসের বৈশ্বিক দূত হিসেবে মঙ্গলবার পর্তুগালের লিসবনে বিশ্ব ডায়াবেটিস কংগ্রেসের জন্য দেয়া ভিডিওবার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডায়াবেটিস আক্রান্ত সব রোগী এবং সেবাদানকারীদের পক্ষে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধে উদ্যোগ গ্রহণে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই আন্তর্জাতিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে হবে এবং আমাদের জনগণের স্বাস্থ্য এবং শিক্ষার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সম্পদ ব্যবহার করতে হবে।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি আমাদের বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যসেবার অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতিকে সামনে এনেছে। বৈষম্য মোকাবিলায় আমাদের সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
তিনি বলেন, ডায়াবেটিস এবং অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত প্রত্যেকের কাছে সঠিক চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে একটি শান্তির বিশ্ব থাকা দরকার।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ, চিকিৎসা ও গবেষণায় বিনিয়োগে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে রাজনৈতিক সদিচ্ছাকে সচল করতে হবে বলেও মনে করেন তিনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক সংস্থার নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনকে (আইডিএফ) গ্লোবাল ডায়াবেটিস কমপ্যাক্ট বাস্তবায়নে সহায়তার আহ্বান জানান রোগটির বৈশ্বিক দূত শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ডায়াবেটিস প্রতিরোধ, চিকিৎসা ও গবেষণায় আন্তর্জাতিক অর্থায়নের কোনো বিকল্প নেই।
ডব্লিউএইচওর হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে প্রায় ৪২ কোটি ২০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছে। এ রোগে প্রতিবছর প্রায় ১৫ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। বাংলাদেশে শিশুসহ ৮৫ লাখেরও বেশি মানুষ ডায়াবেটিস ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অসুস্থতা নিয়ে বসবাস করে।
নিয়মিত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাবারের মতো কিছু জীবনযাত্রার পরিবর্তন ডায়াবেটিস আক্রান্তদের সুস্থ রাখতে পারে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সঠিক ওষুধ এবং সতর্কতার মাধ্যমে একজন ডায়াবেটিস রোগী নিয়মিত জীবন উপভোগ করতে পারেন।’
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিরাময়ে আইডিএফের কাজের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটি ২৪০টি জাতীয় ডায়াবেটিস সমিতিকে এক ছাতার নিচে একত্রিত করেছে এবং এটি সত্যিই অনন্য এক অর্জন।’
সরকারের গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি কমিউনিটি সচেতনতার মাধ্যমে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন সরকারপ্রধান।
দেশের সরকারি হাসপাতালে ডায়াবেটিস রোগীদের বিনা মূল্যে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: