• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

অনাস্থা প্রস্তাব: বিদায় ঘণ্টা বাজছে ইমরান খানের


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১০:১৪ এএম
ঘোরতর এ বিপদের দিনে একে এ
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

নিউজ ডেস্ক:  পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গদি বাঁচানোর লড়াই ক্রমেই জটিল হচ্ছে। ঘোরতর এ বিপদের দিনে একে একে সহযোগীরা তাকে ছেড়ে যাচ্ছেন। হাত মেলাচ্ছেন সরকারের পদত্যাগ ও পুনর্নির্বাচনের দাবিতে গড়ে উঠা বিরোধী জোট পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (পিডিএম) সঙ্গে। সর্বশেষ ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) জোটসঙ্গী মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) যোগ দিয়েছে পিডিএমের অন্যতম দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সঙ্গে। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে পার্লামেন্টে ভোট দিতে চুক্তিও করেছে দল দুটি।

বুধবার তাদের আনুষ্ঠানিক এ পদক্ষেপে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে পিটিআই জোট। নতুন কোনো নাটকীয়তা না হলে ইমরান খানকে বিদায় নিতে হচ্ছে।

পাকিস্তানে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগ ও পুনর্নির্বাচনের দাবিতে বিরোধীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। ১১টি দল মিলে পিডিএম নামে জোট গঠন করে পার্লামেন্টের ভেতরে-বাইরে সোচ্চার তারা। ৮ মার্চ সংসদে সরকার হটাতে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন বিরোধী এমপিরা। আইন সভায় ভোট-শক্তিতে উভয়পক্ষ প্রায় সমান হওয়ায় পরস্পরকে ঘায়েলের চেষ্টা চলছে। চলছে বিরোধী সাংসদদের বাগিয়ে নিজেদের অবস্থান পোক্ত করার কৌশল। এ সুযোগে সুবিধা নিতে মত পরিবর্তন করছেন কেউ কেউ। যাচ্ছেন নতুন দল বা জোটে।

পিটিআই জোট ছাড়ার ঘোষণা দেয় এমকিউএম-পি। এরপরই পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি এক টুইট বার্তায় বলেন, 'ঐক্যবদ্ধ বিরোধীরা এবং এমকিউএম একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে। এমকিউএম-পির দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ফারুগ নাসিম ও আমিনুল হক নিজ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।

সম্প্রতি আন্তঃদলীয় বিরোধের জেরে পাঞ্জাবে পিটিআইর মুখ্যমন্ত্রী উসমান বুজদারের পদত্যাগের পর পিএমএল-কিউর নেতা পারভেজ এলাহিকে এ পদে মনোনয়ন দেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরই এমকিউএম-পি জোট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

ইমরান খানের সরকারকে উৎখাত করতে বিরোধীরা যেভাবে জোটবদ্ধ হচ্ছেন তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব অথবা এর আগে দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেমব্লিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাচ্ছে পিটিআই।

এমকিউএম-পি বিরোধী দল পিপিপির সঙ্গে চুক্তি করায় দেশটির ন্যাশনাল অ্যাসেমব্লিতে পিডিএমের সদস্য সংখ্যা এখন ১৭৭ জনে পৌঁছেছে। এমকিউএম-পি জোট ছাড়ায় ইমরান খানের সরকারের সদস্য সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৬৪-তে। জোটসঙ্গীদের নিয়ে ক্ষমতায় আসার সময় পিটিআইয়ের সদস্য সংখ্যা ছিল ১৭৯ জন।

দেশটির ৩৪২ সদস্যের জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটে জিততে কমপক্ষে ১৭২ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন। এখন ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পিটিআইয়ের কোনো সদস্যেরও সমর্থনের প্রয়োজন নেই পিপিপি নেতৃত্বাধীন বিরোধীদের। তা ছাড়া ক্ষমতাসীন দলের ৩০ এমপি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভোট দিতে যাচ্ছেন বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

এর আগে বুধবার ইমরান খান সরকারকে সমর্থন না করার ঘোষণা দেন বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টির (বিএপি) পাঁচজন। এ ছাড়া ইমরানের মিত্র বলে পরিচিত জামহুরি ওয়াতন পার্টি (জেডব্লিউপি) প্রধান শাহজাইন বুগতিও জোট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বুগতির মতো ইমরানের ঘনিষ্ঠরা জোট ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে বিরোধী দল পিপিপির জোট করায় এখন ইমরান সরকারের পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র বলছেন বিশ্নেষকরা।

সরকার হটানোর পদক্ষেপকে 'দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র' হিসেবে দেখছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেন, আমার দেশের ঘরোয়া ও পররাষ্ট্রনীতির বিষয়ে স্বাধীন চিন্তা-চেতনার কারণেই দেশি-বিদেশি চক্রান্তে সরকারের পতন ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image