• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি সত্যের অপলাপ: তথ্যমন্ত্রী


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৩:৩০ পিএম
ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি সত্যের অপলাপ
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

নিউজ ডেস্ক : ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ এবং পদ্মা সেতুর বিরোধিতার সঙ্গে জড়িত নন ইউনূস সেন্টারের দেয়া বিবৃতি সত্যের অপলাপ মাত্র বলে মন্তব্য করেছেন, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মূলত লজ্জা ঢাকার অপচেষ্টা হিসেবেই বিবৃতিতে তিনি পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক নানা বিষয়ে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের নামেই গ্রামীণফোনের লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল। কিন্তু গ্রামীণফোনের অর্থ কখনো গ্রামীণ ব্যাংকে যায়নি। নোবেল প্রাইজের অর্থ গ্রামীণ ব্যাংকে রাখার কথা থাকলেও সেটি ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে রেখেছেন এবং এ টাকা কোনো জনহিতকর কাজে ব্যয় করেননি।

পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করাসহ সেতু বাস্তবায়নের পথে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দায়ী করে বিভিন্ন সময়ে বক্তব্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতুর উদ্বোধন ঘিরে প্রসঙ্গটি আরও বেশি আলোচিত হয়।

তবে এতদিন অনেকটা মুখ বুজে থাকলেও বুধবার (২৯ জুন) রাতে এ বিষয়ে নিজের মতামত লিখিত আকারে তুলে ধরেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ইউনূস সেন্টার থেকে পাঠানো জবাবের শিরোনাম দেয়া হয়েছে: ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রফেসর ইউনূসের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহের জবাব’।

ইউনূস সেন্টারের বিবৃতিতে পদ্মা সেতুর বিরোধিতা কিংবা ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে অস্বীকার করে ড. ইউনূস নিজেকে পদ্মা সেতুর স্বপ্নে বিশ্বাসী হিসেবে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি এ ঐতিহাসিক সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দনও জানান। তবে লিখিত বক্তব্যে সব অভিযোগের উত্তর মেলেনি বলে সমালোচনা করছেন অনেকেই।

পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধসহ, সেতু বাস্তবায়নের পথে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম বেশ পুরোনো। বিষয়টি আরও আলোচিত হয় নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে সেতু উদ্বোধন হওয়ায়। তবে বিষয়টি নিয়ে এবার লিখিত আকারে নিজের অবস্থান জানান দিয়েছেন তিনি।

বিবৃতিতে ড. ইউনূস দাবি করেন, চাকরি ধরে রাখতে নয়, গ্রামীণ ব্যাংকের মৌলিক আইনি মর্যাদা রক্ষায় তিনি হাইকোর্টে রিট করেছিলেন। যদিও ৬০ বছর বয়স পার হলেও গ্রামীণ ব্যাংকের এমডির পদ থেকে পদত্যাগ না করে পাল্টা পদ টিকিয়ে রাখতে মামলা করেছিলেন তিনি।

নিজের আয়ের উৎস হিসেবে ভাষণের উচ্চ ফি, ২৫ ভাষায় প্রকাশিত বইয়ের রয়্যালটি এবং এসব অর্থ স্থায়ী আমানত হিসেবে রেখে অর্জিত আয়কে উল্লেখ করেন ড. ইউনূস। তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি হিসেবে বেতনের বাইরে কোনো অর্থ গ্রহণ করেননি বলেও দাবি করেন।

পাশাপাশি তিনি কখনোই গ্রামীণফোনের শেয়ারের মালিক ছিলেন না বলেও জানান। যদিও তার বক্তব্যে ওঠে আসেনি গ্রামীণফোনের প্রতিষ্ঠাতা ইকবাল জেড কাদীরের নাম।

অধ্যাপক ইউনূস কখনোই ক্লিনটন ফাউন্ডেশনকে কোনো অনুদান দেননি বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। এমন অভিযোগকে সম্পূর্ণ কল্পনাপ্রসূত এবং মানহানিকর আখ্যা দিয়ে জানান, সরকার আগেই তার সব ধরনের লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করেছে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image