• ঢাকা
  • বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

কৃষকের বোরো ক্ষেতে বন্ধু পাখি


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১:৫৪ এএম
কৃষকের
বোরো ক্ষেতে বন্ধু পাখি

গৌতম চন্দ্র বর্মন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: কৃষি প্রধান দেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষকরা রোপন করেছে বরো ধানের চারা। আর এ ধানের চারা ক্ষেতে পোকার আক্রমণে যেন ফসলের ক্ষতি না হয়, সেজন্যে স্থাপন করা হচ্ছে পার্চিং। আর এ ধান ক্ষেতের সবুজের সামাহারে ইতিমধ্যে নজর কাড়ছে চলতি পথের পথিকের। অধিক ফলন ঘরে তোলার লক্ষ্যে নিয়মিত পরিচর্যা করছেন কৃষকরা। 

অর্থাৎ গাছের ডাল বা কঞ্চি পূঁতে পাখি বসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আর এই পার্চিংয়ে বসিয়ে ক্ষতিকারক পোকা দমন করছে পাখিগুলো। সম্প্রতি জেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলের কৃষকের মাঠে দেখা গেছে, পার্চিং বসানোর চিত্র। এরই মধ্যে একদল ফেচকা পাখি উড়ে এসে জুড়ে বসেছে এই পার্চিংয়ে। ওঁৎপেতে এসব পাখি দমন করছে ক্ষতিকারক পোকা।

যার কারণে ধীরে ধীরে এই পদ্ধতি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা যায়, বোরো ধানের জমিতে পোকামাকড় দমনে পার্চিং পদ্ধতি একটি সফল প্রযুক্তি। এর মাধ্যমে সহজে ক্ষতিকারক পোকা নিধন ও আর্থিক সাশ্রয় হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে এ পদ্ধতির ব্যবহার বাড়ছে। এতে কীটনাশক ছিঁটিয়ে পোকা দমনের প্রয়োজন হয় না।

এখন প্রকৃতির মুক্ত পরিবেশে উড়ন্ত পাখি যেন কৃষকের পরম বন্ধু হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃষক মহন্ত রাশ জানান, চলতি মৌসুমে সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছেন। গত বছরের তুলনায় এবার বিদ্যুৎ-ডিজেল ও অন্যান্য কৃষিপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে বোরো আবাদে খরচ বেশী হচ্ছে তার।তাই কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে কিটনাশকের পরিবর্তে পার্চিং স্থাপনের মাধ্যমে পাখি দিয়ে পোকামাকড়র দমন করছেন।

নরেশ বর্মন নামের আরেক কৃষক বলেন, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জমিতে পোঁতা পার্চিংয়ে বসে বসে পাখিরা পোকা খায়। এতে করে ফসল ক্ষতির হাত থেকে রেহাই পাচ্ছি। তেমনি আর্থিক সাশ্রয়ও হচ্ছে।জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, মাজরা পোকা দমনে পার্চিং পদ্ধতির কোন বিকল্প নেই। একদম পরিবাশেবান্ধব পদ্ধতি। এ নিয়ে কৃষকদের আগ্রহ করে তোলা হচ্ছে।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে বোরো ৬০ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে  উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৪০ মেট্রিক টন। যা গত বছরে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয় ৫৯ হাজার ১১৪ হেক্টর। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৭৩ মেট্রিক টন। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো: সিরাজুল ইসলাম জানান, কৃষি বিভাগ থেকে ইতিমধ্যে কৃষকদের বিভিন্ন তথ্য প্রদানসহ কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে।এবার বোরোর আবাদ গত বছরের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বোরো ধানেরও বাম্পার ফলন হয়ে কৃষকেরা ধানের ন্যর্য্য মূল্য পাবেন এবং লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image