
নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়ে গেছে দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ। এবারই আরব বিশ্বে প্রথম বিশ্বকাপ। আর সেখানে উদ্বোধনী ম্যাচের আবেদন ছিল অন্যরকম। স্বাগতিক দেশের দর্শকে পরিপূর্ণ গ্যালারি, যেন প্রতিপক্ষকে ভয় ধরিয়েছিল। তবে মাঠের লড়াইয়ে, ভয় করেনি ইকুয়েডর। কাতার রক্ষণে ত্রাস সৃষ্টি করেন ভ্যালেন্সিয়া-মিনদেজরা। বিশ্বকাপে এর আগে কখনোই আয়োজকরা প্রথম ম্যাচে হারেনি। কিন্তু ইতিহাসটা যে পাল্টেই দিল ল্যাতিন দলটি। বিশ্বকাপের ৯২ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো হারল আয়োজকরা।
রোববার আল-খোরের আল বাইত স্টেডিয়ামে ফিফা বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক কাতারকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে ইকুয়েডর। ম্যাচের প্রথম আধা ঘণ্টার মধ্যেই দুটি গোল আদায় করে নেয় তারা। দুটি গোলই করেন এনের ভ্যালেন্সিয়া। এর মধ্যে দিয়ে ম্যাচসেরা এবং বিশ্বকাপের মঞ্চে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়েছেন তিনি।
শুরু থেকে আক্রমণাত্মক খেলে ইকুয়েডর। ফল আসতে পারতো চার মিনিটেই, গোল করে উদযাপন শেষ করলেও সেটা পূর্ণতা পায়নি। রেফারির ভিএ্আর দর্শনে বাতিল হয়েছে গোল।
মন খারাপ করে, খেলায় তার প্রভাব ফেলেনি ইকুয়েডর। ধার ধরে রেখে গোল আদায় করেছে ১৬ মিনিটে-ই। বিশ্বকাপ মঞ্চে চার গোল করে দেশের সেরা গোলদাতা হয়ে যান ভ্যালেন্সিয়া...
এর মিনিট তিনেক বাদেই ব্যবধান বাড়তে পারতো, এস্তাদার হেড জালের ঠিকানা পায়নি। তবে, ৩২ মিনিটে আবারও স্বাগতিক দুর্গে ভ্যালেন্সিয়ার হামলা। ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়ে ম্যাচ জয়ের পথে অনেকটা এগিয়ে যায় ইকুয়েডর।
শক্তি সামর্থ্যে এগিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে মাঠে নেমে, গ্যালারি সমর্থন কাজে লাগাতে পারেনি কাতার। বিরতির পর আক্রমণের চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিট পার না হতেই আরও একটি গোল হজম করতে পারতো কাতার। দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন রোমারিও ইবারা। এ যাত্রা দলকে রক্ষা করেন কাতারের গোলরক্ষক সিব। রোমারিওর জোরালো শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান তিনি।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এসডি
আপনার মতামত লিখুন: