ডেস্ক রিপোর্টার: ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি (এফবিসিসিআই) মনে করে, প্রস্তাবিত বাজেট মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে। তবে সুশাসন, তদারকির মাধ্যমে বিনিয়োগ ও উৎপাদন বাড়িয়ে রাজস্ব আদায় করে বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ দেখছে সংগঠনটি।
শনিবার (১১ জুন) মতিঝিল এফবিসিসিআই কার্যালয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এ কথা বলেন।
সংসদে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাবের দুদিন পর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। অর্থনীতির সংকটময় পরিস্থিতিতে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে আরও সমুন্নত রাখতে এই বাজেট সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করে সংগঠনটি। আগামী অর্থবছরের বাজেট সময়োপযোগী, এমনটাই বলছেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় গুরুত্ব দেয়ায় অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বিদ্যমান সংকটময় পরিস্থিতিতে আমাদের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে আরও সম্মুনত রাখতে এ বাজেট সহায়ক হবে বলে আমরা মনে করি। বাজেটের আকার অত্যন্ত সময়োপযোগী।
তবে ঘাটতি মোকাবিলায় ব্যাংক থেকে এক লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা নেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এতে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া অগ্রিম আয় কর ও অগ্রিম কর বিলুপ্তির দাবি বাজেটে প্রতিফলন ঘটেনি বলে জানিয়েছে এফবিসিসিআই।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দক্ষতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং তদারকির মান ক্রমাগতভাবে উন্নয়নের জন্য সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা ও পরিকল্পনা নিশ্চিত করা জরুরি।
পাশাপাশি রাজস্ব আদায়ের জন্য ইন্ট্রিগ্রেটেড ও অটোমেশন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার পরামর্শ এফবিসিসিআইয়ের। এতে ব্যবসায়ীদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়বে। বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়ানো সম্ভব হবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: