নিউজ ডেস্ক : জুনের শুরুতে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হঠাৎই বাড়তে শুরু করে। করোনায় আক্রান্তের সে সংখ্যা শতক পেরিয়ে হাজার ছাড়িয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সবশেষ তথ্যানুযায়ী, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯০২ জন।
রোববার (৩ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তথ্যানুযায়ী, গতকাল শনিবার দেশে করোনায় মৃত্যু হয় ৬ জনের এবং আক্রান্ত হন ১ হাজার ১০৫ জন। সে অনুযায়ী রোবাবার করোনায় মৃত্যু কমলেও বেড়েছে শনাক্ত।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, রোববারের ২ জনসহ মোট মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৬২ জনে দাঁড়িয়েছে। মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৭৮ হাজার ৬৮৯ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩০৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৮ হাজার ২৯৭ জন।
২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৩৪৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১২ হাজার ২৪৬টি। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের ১ জন ঢাকা বিভাগের, ১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের। তাদের মধ্যে ১ জন পুরুষ ও ১ জন নারী।
এদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মাস্ক পরাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে ৬টি নির্দেশনা দিয়েছে। গত ২৮ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে চলাচল ও সার্বিক কার্যাবলীর ক্ষেত্রে এসব নির্দেশনা জারি করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
দেশে হঠাৎ করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সবাইকে মাস্ক পরার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর।
এ পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরু হয়েছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে আমরা সফল হয়েছিলাম কিন্তু আবারও সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। আমরা আতঙ্কিত না হলেও চিন্তিত।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: