• ঢাকা
  • শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

বাংলাদেশকে শক্তিশালী শান্তি প্রতিষ্ঠাকারি দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করুন : প্রধানমন্ত্রী


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ২৯ মে, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৭:২৯ পিএম
বাংলাদেশকে শক্তিশালী শান্তি প্রতিষ্ঠাকারি দেশ  প্রতিষ্ঠার আহবান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ডেস্ক রিপোর্টার :  শান্তি প্রতিষ্ঠা’কে একটি মহৎ কাজ অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের জাতীয় পতাকার মান সমুন্নত রেখে বিশ্বে বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী শান্তি প্রতিষ্ঠাকারি দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আপনারা বাংলাদেশকে বিশ্বে একটি শক্তিশালী শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবেন এবং এর পতাকার মর্যাদা সমুন্নত রাখবেন।

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত শান্তিরক্ষীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পেশাদারিত্ব ও সততা বজায় রেখে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব স্ব-স্ব পালন করতে হবে। নিজেদের সুরক্ষিত রেখে আত্মবিশ্বাস নিয়ে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করতে কাজ করবেন। কারণ, বিশ্ব শান্তি প্রচার করা একটি মহৎ কাজ।
প্
রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২২’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।

গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগদান করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বছরের শান্তিরক্ষী দিবসের থিম ‘জনগণের শান্তি অগ্রগতি: অংশীদারিত্বের শক্তি’-এর মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করার অঙ্গীকার করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীর তরুণ সদস্যগণ ২১ শতকের বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম।

তিনি বলেন, সবসময় মনে রাখবেন যে কোন দায়িত্ব পালনে আত্মবিশ^াসটা হচ্ছে সবথেকে বড় কথা। কাজেই সকলে আত্মবিশ^াস নিয়ে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করবেন। তাহলেই আপনারা সফল হবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রয়োজনে আরো শান্তিরক্ষী পাঠাতে প্রস্তুত। বিশ^ করোনাভাইরাসের মত মহামারী অতিক্রম করতে করতেই আবার একটি যুদ্ধের দামামা (রাশিয়া-ইউক্রেন) বেজে উঠেছে। যা আজকে বিশ^ অর্থনীতির ওপর বিরাট প্রভাব ফেলেছে।

তিনি বলেন, আমরা কোন যুদ্ধ বা সংঘাত চাই না, শান্তি চাই। সারাবিশে^ শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক সেটাই আমাদের কাম্য। বিশ্ববাসীর পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় আপনাদের এই ভূমিকা চিরকাল স¥রণ রাখবে।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠান থেকে ভার্চ্যুয়ালি সংযুক্ত দক্ষিণ সুদান, লেবানন, সেন্ট্রাল আফ্রিকা রিপাবলিক এবং কঙ্গোতে অবস্থানকারি বাংলাদেশী কন্টিনজেন্টের সঙ্গে মত বিনিময় করেন।

তিনি ইউ এন পিস কিপিং জার্নালের একটি ভলিউমের মোড়কও উন্মোচন করেন।

আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের সামরিক উপদেষ্টা জেনারেল বিরামে ডিওপ এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি জিওন লুইস অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শান্তিরক্ষা মিশনে দুই শহিদের পরিবারকে এবং সাহসিকতার জন্য একজনকেসহ ১৪ জন আহত শান্তিরক্ষীকে পদক প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার মহৎ উদ্দেশ্যে জীবন উৎসর্গকারী শান্তিরক্ষীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ৩৪ বছরের যাত্রার ওপর একটি ছোট ভিডিও ডকুমেন্টারিও প্রদর্শিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কেবল বাঙালি জাতিরই নন তিনি ছিলেন সমগ্র বিশে^র নিপীড়িত নির্যাতিত শোষিত মানুষের মুক্তির ও শান্তির দূত। তাই, তিনি আলজিয়ার্সে এক ভাষণে বলেছিলেন, ‘বিশ^ আজ দু’ভাগে বিভক্ত শোষক আর শোষিত, আমি শোষিতের পক্ষে।’

তিনি মানুষকে শোষণ বঞ্চনা থেকে মুক্তি দানের জন্যই নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেন এবং স্বাধীন জাতি হিসেবে আমাদের প্রতিষ্ঠা করেন।

এজন্য বিশ্ব শান্তি পরিষদ তাঁকে ‘জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কার’-এ ভূষিত করে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image