মিঠামইন প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ: মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউ, পি সদস্য যুবলীগ নেতা শেখ আবদুল হেলিম হত্যা কারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে গতকাল ৩০শে জুলাই শনিবার নিহত হেলিমের বাড়ির সামনের রাস্তায় এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃমুজিদ মিয়া।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন, ঘাগড়া ইউনিয়নের স্বর্ণপদক প্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান ভুঁইয়া অন্যান্যদের মাঝে আলোচনায় অংশ নেয়, বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃমাসুক মিয়া,ঘাগড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোঃউজ্জল ভুইঁয়া,মোঃশাহআলম(গ্রামবাসী),খলিল মিয়া (গ্রামবাসী),শিরিন আক্তার (নিহত হেলিমের স্ত্রী),নিহতের পিতা শেখ ফরিদ আহমেদ, ঘাগড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃবাচ্চু মিয়া প্রমুখ।
বক্তারা হেলিমের খুনিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে অভিযোগ করে বলেন,ঘটনার ২০ দিন পার হয়ে গেলেও হেলিমের খুনিদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ নিয়ে জনমনের সন্দেহের সৃষ্টি হচ্ছে। আদৌ বিচার পাবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। মামলা যেভাবে এগুচ্ছে বিচার না পাওয়ার সম্ভবনা বেশি। হেলিমের পরিবারকে নানান ভাবে হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে তারা আতঙ্কে রয়েছে বলে জানান।এলাকাবাসী জানান,তারা সমস্ত এলাকায় খুনীদের পোষ্টার ও ব্যানার টানিয়ে দিয়েছেন। তারা হেলিম হত্যার খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে উপজেলা পর্যায়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করবেন বলে জানান। উল্লেখ্য,গত ১১ই জুলাই রাতে ঘাগড়া বাজার হক মার্কেট থেকে হেলিমকে তুলে নিয়ে একই ওয়ার্ডের শিহারা গ্রামের আইয়ুব আলী গং তাকে জোর করে তুলে নিয়ে মেরে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়।
পরে স্হানীয় চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান ভুঁইয়া লোকজনকে নিয়ে হেলিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। হেলিমের স্ত্রী শিরিনা আক্তার ৪১ জনকে আসামী করে মিঠামইন থানায় খুনের মামলা দায়ের করেছেন। মিঠামইন থানার ওসি কলিন্দ্র নাথ গোলদার জানান, আসামী ধরার জন্য, জোর প্রচেষ্টা চলছে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় সোর্স মাধ্যমে হানা দিচ্ছে। অষ্ট্রগ্রাম সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার বাবু সামুয়েল সংমা এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,বাদী আমাদের সহযোগিতা করতে হবে। আসামী যেকোনো জায়গায় অবস্থান করুক না কেনো সঠিক তথ্য দিলে গ্রেফতার করে নিয়ে আসবে পুলিশ।
ঢাকানিউজ২৪.কম / বিজয়কর রতন/কেএন
আপনার মতামত লিখুন: