• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

দিনাজপুরে হলুদ তরমুজ চাষে প্রথমবারেই সাফল্য


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ০৮ মে, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০১:১৭ পিএম
হলুদ তরমুজ চাষ
হলুদ তরমুজ চাষ

দিনাজপুর প্রতিনিধি:  ইউটিউবে হলুদ তরমুজ (তাইওয়ানের গোল্ডেন ক্রাউন ও ব্ল্যাক বেবি) চাষ দেখে উৎসাহিত হয়ে প্রথমবারে দিনাজপুরের খানসামায় ব্যক্তিগতভাবে চাষ করে  সাফল্য পেয়েছেন এক যুবক।
 
উপজেলার ভাবকী ইউনিয়নের দক্ষিণ রামনগর গ্রামের মৃত ওমর আলীর ছেলে একরামুল হক তার ছেলের মোবাইলে ইউটিউবে দেখে হলুদ তরমুজ চাষের জন্য উৎসাহিত হন। এরপর তিনি তার ছেলেকে সাথে নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবারের মতো এ তরমুজ চাষ করেন। সফল হয়েছেন তিনি।

স্থানীয় আজিজার রহমান জানান একরামুলের ছেলে শাওন (২১) ইউটিউবে তরমুজের চাষ দেখে উৎসাহিত হয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে হলুদ  তরমুজের চাষ শুরু করেন। প্রথমবারেই ভালো ফলন হয়েছে। হলুদ তরমুজ দেখতে এলাকাবাসী তার ক্ষেতে ছুটে আসছেন। অনেকেই আগামীতে এ তরমুজ চাষ করার আগ্রহও প্রকাশ করে একরামুলের কাছে থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন। নতুন এই জাতের তরমুজ দেখতে সুন্দর, আবার স্বাদ ও সুগন্ধও রয়েছে। এ কারণে এই তরমুজের চাহিদাও বেশ ভালো।

হলুদ এই তরমুজ দেখতে আসা আনিছুর রহমান নামের এক যুবক বলেন, ফলটি ভিন্ন কালারের হওয়ায় দেখতে আকর্ষণীয়। স্বাদে মনে হয় খুবই মিষ্টি হবে। দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে।

তরমুজ চাষি একরামুল জানান, আমার ছেলে শাওনের মোবাইলে ইউটিউবে প্রথম এই হলুদ তরমুজের ভিডিও দেখে। উৎসাহিত হয়ে আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই হলুদ তরমুজের চাষ শুরু করি। ইউটিউবে এই তরমুজের ফলন দেখে খুব ইচ্ছে হলো, তাই চিন্তা করলাম একবার পরীক্ষা করেই দেখি। এরপর সাহস করে ছেলের পরামর্শে তার বন্ধুর মাধ্যমে বগুড়া থেকে বীজ ক্রয় করি। মাত্র ৪০ শতাংশ জমিতে বীজ বপন করি। ফলনও ভালো হয়। এই তরমুজ চাষ করতে সব মিলিয়ে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪০-৪৫ হাজার টাকা।

আর এই ফল থেকে ১ লক্ষ থেকে দেড় লক্ষ টাকা আয় হবে বলে আমরা আশাবাদী। এই তরমুজ চাষে নিজের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাণিজ্যিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ারও সুযোগ রয়েছে। মাত্র ৩ মাস সময় সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে ১ বিঘা জমিতে ৪ লাখ টাকার তরমুজ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামীতেও এই তরমুজ বাণিজ্যিকভাবে চাষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। আমার ছেলে নতুন জাতের এই হলুদ তরমুজ চাষ করে এলাকাবাসীর মধ্যে সাড়া ফেলেছেন। হলুদ রঙের তরমুজ আছে বলে সাধারণ মানুষ জানতো না। এই তরমুজ ভেতরে লাল, রসালো আর খেতে খুব মিষ্টি ও সুস্বাদু।

খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বাসুদেব রায় জানান,নতুন ধরনের এই তরমুজ এলাকার কৃষকের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। হলুদ তরমুজ উচ্চ মূল্যের ফসল। এটি হাইব্রিড জাতীয় তরমুজ। তবে উৎপাদন ব্যবস্থা দেশি তরমুজের মতো। একরামুল হকের এই সফলতার পেছনে উপজেলা কৃষি বিভাগ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / মোঃআব্দুস সাত্তার/কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image