• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ইউক্রেন যুদ্ধের পর বৈঠক করলেন পুতিন-শি জিনপিং


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১২:৫১ পিএম
শীর্ষ সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি
বৈঠক করলেন পুতিন-শি জিনপিং

নিউজ ডেস্ক:  যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বে একক আধিপত্য বিস্তারের কুৎসিত চেষ্টা চলাচ্ছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে হুঁশিয়ার করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভদ্মাদিমির পুতিন। একই সঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে চীনের 'ভারসাম্যপূর্ণ' অবস্থানের প্রশংসাও করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার উজবেকিস্তানের সমরখন্দে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটোর প্রভাবের বিপরীতে এশিয়া-ইউরোপের কয়েকটি দেশ নিয়ে গঠিত রাশিয়া ও চীনের নেতৃত্বে আঞ্চলিক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা গ্রুপ হলো এসসিও। রাশিয়াকে আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না- বিশ্বকে এমনটা দেখাতে পুতিনের জন্য এই সম্মেলন একটি সুযোগ। কারণ, এমন এক সময়ে এই সম্মেলন হচ্ছে, যখন রুশ বাহিনী ইউক্রেন যুদ্ধে বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।

বৈঠকে পুতিন বলেন, একক আধিপত্যের বিশ্ব তৈরির চেষ্টা সাম্প্রতিক সময়ে একেবারে কুৎসিত রূপ নিয়েছে। তাইওয়ানে মার্কিন প্রভাব প্রসঙ্গে শি জিনপিংকে তিনি বলেন, মস্কো বেইজিংয়ের 'এক চীন' নীতিকে সমর্থন করে। তাইওয়ান প্রণালিতে যুক্তরাষ্ট্রের 'উস্কানি'র বিরোধিতা করে মস্কো। একই সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধে চীনের 'ভারসাম্যপূর্ণ' অবস্থাকে মূল্যায়ন করে রাশিয়া।

ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর থেকে পুতিন ও শি জিনপিংয়ের মধ্যে এটিই ছিল প্রথম মুখোমুখি বৈঠক। ইউক্রেন যুদ্ধ ও পশ্চিমা প্রভাবের বিরুদ্ধে এ বৈঠক রাশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা। আজ শীর্ষ সম্মেলনের প্রধান অধিবেশন হলেও পুতিন ও শি জিনপিংয়ের বৈঠক ছিল বিশ্বব্যাপী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

পুতিনের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদির বৈঠকের বিষয়ে নিশ্চিত করেছে রাশিয়া। তবে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় কোনো বৈঠক হবে কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। যদি বৈঠক হয়, তবে ২০২০ সালে লাদাখে সীমান্ত সংঘাত ঘিরে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের সম্পর্কের অবনতির পর এটিই হবে দেশ দুটির সরকারপ্রধানের মুখোমুখি কোনো বৈঠক। এমন এক সময়ে তাঁরা সম্মেলনে মুখোমুখি হলেন, যখন মাত্র তিন দিন আগে সংঘাতপূর্ণ ওই অঞ্চলের আরও একটি এলাকা থেকে দুই দেশের সেনা চৌকি তুলে নিয়েছে উভয় দেশ।

এদিকে সম্মেলনের প্রথম দিন এসসিও স্থায়ী সদস্য হতে স্মারক স্বাক্ষর করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, এসসিওর পূর্ণ সদস্য পদ প্রাপ্তির জন্য নথিতে স্বাক্ষর করার মাধ্যমে ইরান এখন বিভিন্ন অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, ট্রানজিট এবং জ্বালানি সহযোগিতার একটি নতুন দিগন্তে প্রবেশ করেছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভদ্মাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এ সময় পুতিনকে তিনি বলেন, ইরান, রাশিয়া বা অন্য দেশের মতো মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্কোন্নয়ন অনেক সমস্যা কাটিয়ে আরও শক্তিশালী করতে পারে। জবাবে পুতিন বলেন, রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে সম্পর্ক ইতিবাচকভাবে বিকশিত হচ্ছে। এসসিও সদস্য হওয়ার জন্য ইরানের প্রতি রুশ সমর্থনের কথাও তুলে ধরেন তিনি।

ইরানের পূর্ণ সদস্যপদ আগামী বছরের এপ্রিলে কার্যকর হতে পারে। ইরানের যোগদানের আবেদন গত বছর অনুমোদন করেছিল দ্রুত সম্প্রসারিত সংস্থা এসসিও। এসসিওর বর্তমান সদস্য সংখ্যা আট। দেশগুলো হলো- চীন, ভারত, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, রাশিয়া, তাজিকিস্তান আর উজবেকিস্তান। সংস্থাটির পর্যবেক্ষক দেশ হিসেবে রয়েছে- আফগানিস্তান, বেলারুশ, ইরান ও মঙ্গোলিয়া। আর সংলাপ অংশীদার রয়েছে- আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, কম্বোডিয়া, নেপাল, শ্রীলঙ্কা আর তুরস্ক। সংস্থাটির সদস্যপদ পেতে বেলারুশও আনুষ্ঠানিকভাবে নথিতে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে। এ ছাড়া কাতার ও সৌদি আরবও নতুন সংলাপের অংশীদার হতে পারে।

বিশ্বের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ এবং বৈশ্বিক মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৩০ শতাংশ নিয়ে গঠিত বিশ্বের বৃহত্তম আঞ্চলিক সংস্থা এসসিও আরও প্রসারিত করতে চায়।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image