নিউজ ডেস্ক : পোশাক শ্রমিকদের সাহায্য করতে টিসিবির আওতায় নিত্যপণ্য সরবরাহের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বুধবার (৩১ আগস্ট) সিপিডি ব্র্যাক ইন সেন্টারে পোশাক শিল্প নিয়ে সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, ট্রেড ইউনিয়নের শ্রমিকদের স্বার্থ যেমন দেখতে হবে, তেমনি কারখানাও টিকিয়ে রাখতে হবে।
পোশাক কারখানায় নারী শ্রমিকদের হার কমেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, শ্রমিকদের জীবনমানও উন্নয়ন করা দরকার। সেই সঙ্গে কমপ্লায়েন্স রক্ষা করতে হবে।
এদিকে সিপিডির সেমিনারে জানানো হয়, ৫১টি কারখানার ওপর চালানো জরিপে দেখা গেছে, ২৯ শতাংশ কারখানা পরিদর্শনেই ঘুষ ও দুর্নীতি হয়। এ ছাড়া ২২ শতাংশ শ্রমিক চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন।
এ সময় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সহসভাপতি শহীদউল্লাহ আজিম বলেন, কারখানায় যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। তাই কমে আসবে শ্রমিকের সংখ্যা। সুতরাং শ্রমিকদের টিকে থাকতে হলে এখন থেকেই শ্রমিক দক্ষতা বাড়াতে হবে।
দেশে ১ হাজার ১৩৪টি কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন রয়েছে উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন রাখেন, এতে শ্রমিকদের ভাগ্য কতটা উন্নয়ন হয়েছে? মালিকরা শ্রমিক ইউনিয়নকে ভয় পায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, বায়ারদের পোশাকের দাম বাড়াতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি। শিল্পের জন্য সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
সেমিনারে শ্রমিক নেতা মন্টু ঘোষ বলেন, বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। শ্রমিকের জীবনে সংকট বাড়ছে। চার বছর আগে মজুরি বাড়ানো হয়েছে। মজুরি বোর্ডের মাধ্যমে মজুরি বাড়ানোর কথা এখনো সরকার বিবেচনা করছে না। যত দ্রুত সম্ভব মজুরি বাড়ানো আবশ্যক।
সব খাতেই ট্রেড ইউনিয়ন সংকট বিদ্যমান উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের হাতে ট্রেড ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রণ থাকে, যার কারণে শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। এ সময় তিনি দু-এক মাসের মধ্যে শ্রমিকদের রেশনের উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: