• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৮ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

স্যার সম্বোধন ঔপনিবেশিক, এটা বদলাতে হবে : রব  


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৫:৩৫ পিএম
স্যার সম্বোধন ঔপনিবেশিক, এটা বদলাতে হবে
জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব

নিউজ ডেস্ক : স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণ, নিপীড়নের বিরুদ্ধে সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভ করলেও আমাদের দেশের আইন এবং প্রশাসনিক কাঠামো এখনো ব্রিটিশ আমলের আইন দ্বারা পরিচালিত। 'স্যার' সম্বোধন নিয়ে প্রায়শঃই জটিলতা দেখা দেয়, এতে প্রমাণ হয় ঔপনিবেশিক মানসিকতার অবস্থান থেকে আমরা মুক্ত হতে পারিনি। ঔপনিবেশিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করে ৫২ বছর আগে স্বাধীনতা লাভ করেছি। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের ঔপনিবেশিক এসব সম্বোধন, হাবভাব, আচরণ অবশ্যই বদলাতে হবে। এগুলো একেবারেই অমর্যাদাকর এবং কারো জন্যই সম্মানজনক  নয়। 

‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার’ এই ত্রয়ী মূল মন্ত্রের ভিত্তিতে দেশ স্বাধীন হলেও স্বাধীনতা অর্জনের পর গণমুখী প্রশাসন ব্যবস্থা চালু না করে ঔপনিবেশিক কাঠামো, আইন ও বিধি বহাল রাখার কারণে দেশের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলেও ঔপনিবেশিক ধ্যান-ধারণা, আচার-আচরণ আজও বহাল রয়েছে। বিদেশী শাসকের বদলে আজ দেশীয় শাসকেরাও ঔপনিবেশিক কায়দায় রাষ্ট্র চালাচ্ছে। রাষ্ট্র ক্ষমতায় যারা আছে- তারা রাজা আর দেশবাসী প্রজা - রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয় ‘আভ্যন্তরীণ ঔপনিবেশবাদ’। এই ধ্বংসপ্রাপ্ত রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক মডেলের ভিতর জনস্বার্থপরায়ণ নীতি-নৈতিকতা বিকাশের কোন সুযোগ নেই।

তিনি আরো বলেন, ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিকল্প মডেল আমরাই হাজির করেছি 'অংশীদারিত্বের গণতন্ত্র’ কর্মসূচি প্রণয়ণ করে। স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণে উৎপাদন-উন্নয়নে সম্পৃক্ত শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবী জনগোষ্ঠীর রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রতিনিধিত্ব সাংবিধানিকভাবে নির্ধারণ করাই ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে বাস্তব পদক্ষেপ।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কার্যালয় জেএসডি আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে আ স ম আবদুর রব উপরোক্ত বক্তব্য প্রদান করেন।

জেএসডির সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ মিয়া, এডভোকেট কে এম জাবির,এ কে এম মিজান উর রশীদ চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল আলম নিক্সন,মোশারেফ হোসেন মন্টু, কামাল উদ্দিন মজুমদার সাজু,বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মোহাম্মদ নাসিম,আবদুল মুত্তালিব মাস্টার,আবদুল কালাম,এহসান ভূঁইয়া ফারজানা দিবা, তাবাসুম মৌ প্রমুখ।

শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, বাংলাদেশের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস দখলে রেখে রাজনৈতিক আধিপত্য জারি রাখার জন্য সরকার ইতিহাসের বয়ান নতুন করে উপস্থাপন করছে। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানকারীদেরও রাজনৈতিক ফায়দা লুটার কারণে ভিলেন হিসেবে চিহ্নিত করছে। শাসক শ্রেণীর এই ধরনের ইতিহাস চর্চা- ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মনে ইতিহাস নিয়ে প্রচন্ড বিভ্রান্তি সৃষ্টির রসদ জোগাচ্ছে। সরকারকে এসব নিম্নমানের খেলা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image