• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

নববর্ষে পাঁকা ধান কাটতে শুরু করছে হাওরের কৃষকরা


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০২:৩৪ পিএম
নববর্ষে
হাওরের কৃষকরা পাঁকা ধান কাটতে শুরু করছে

বিজয় কর রতন, (মিঠামইন) কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: হাওরের মানুষের আনন্দ বেদনার,শোক,দুঃখ এ বৈশাখ মাসকে ঘিরে। হাওরের মানুষ বৈশাখ মাসকেই বোরো ধান ঘরে তোলার উপযুক্ত সময় মনে করছে। সরকারি গননা অনুযায়ী শুক্রবার ছিল বৈশাখের প্রথম দিন।কিন্তু পঞ্জিকা ও হিন্দু ধর্মের রীতি অনুযায়ী ১ম বৈশাখ আজ শনিবার। আজ থেকেই পাঁকা ধান ঘরে তুলতে  ব্যাস্ত সময় পার করছেন হাওরের কৃষকরা।জানা যায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কিশোরগঞ্জের হাওরে এবছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও কৃষকের মুখে আনন্দের চাপ নেই।কারণ ব্রিআর-২৮,ব্রিআর-২৯ ধানের ছিটা ধরেছে।

অন্যান্য জাতের হাই ব্রিড যেমন ৯২,৮৮,৮৯ ও হীরা ধানের ফলন ভালো হয়েছে। কৃষকরা জানান,হিন্দু ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বৈশাখের প্রথম দিন আজ শনিবার  কৃষকরা ঘরে পূজো দিয়ে হাওরে ধান কাটতে নেমে পড়েছে।সূর্য উঠার সঙ্গে সঙ্গে মাথায় ঘামছা পেছিয়ে দেশীয় শ্রমিকরা ধান কাটছে হাওরে। মিঠামইনের ঘাগড়া ইউনিয়নের খলাপাড়া গ্রামের কুমারদিঘা হাওরের কৃষক নিরঞ্জন  দাস বলেন,মহাজনের নিকট থেকে চড়া সুদে টাকা এনে ৫ একর জমি ব্রিআর ২৮ করে ছিলাম।কিন্তু ধানে ছিটা হওয়ায় তার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেল।তিনি আরও জানান, কম করে হলেও ৩০০ মণ ধান তিনি পাওয়ার আশা করছিলেন।কিন্তু এখন ২০ মণ ধান পাওয়া নিয়েও শংকায় রয়েছে।

অপর কৃষক মহিউদ্দিন জানান,বৈশাখের প্রথম দিন কষ্টের ফসল ঘরে তুলতে পেরে খুব আনন্দ লাগছে।এবছর ফলন বাম্পার হলেও ৫০ ভাগ কৃষকের মনে আনন্দ নেই।প্রথম দিকে জমির ফসলের অবস্থা খুবই ভালো ছিল।কিন্তু তাপমাএা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে প্রায় হাওরের অর্ধেক জমি ব্লাষ্ট ও ছিটায় নষ্ট হয়ে পড়েছে।যাদের ভালো হয়েছে। তাদের আনন্দের সীমা নেই।গৃহিণী রাহেলা বলেন,নদীর পাড়ের ক্ষেত কাইট্টা আনছে আমার জামাই। ধান মেশিন দিয়া ছুরাইয়া৷ সিদ্ধ কইরা রোদে লাড়তে দিছি।আমার কাছে খুব আনন্দ লাগছে।

ইটনার বেতেগা হাওরের কৃষক বিশ্বজিৎ সরকার বলেন,গত বছর এমন দিনে পানির নিছ থেইক্কা পছা ধান তুলতাম।আর এই বার হেই জায়গায় ধান কাইট্টা ঘরে তুলছি এটাই আমার বড় আনন্দ। মহাজনের দেনা সুদ করে পরিবার লইয়া কোনো রকম চলতে পারবো।এ বছর চলতি বোরো মৌসুমে মিঠামইনের হাওরে ১৫ হাজার ৯ শত ১০ হেক্টর বোরো জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ভুট্টা ২৬৩৩ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। ব্রিআর -২৮ ধান ৩৯০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। মিঠামইন উপজেলা  কৃষি কর্মকর্তা রাফিউল ইসলাম বলেন,১৫ হাজার ৯শত১০ হেক্টর বোরো জমি আবাদ করা হয়েছে। এতে ৭৫ হাজার ৯ শত ১৭ মেট্রিকটন চাল উৎপাদন হবে বলে লক্ষ্য মাএা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image