• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৮ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই: মোহসীন মন্টু


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ০২ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১:৫৯ এএম
নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে অবাধ
সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই, মোহসীন মন্টু

নিউজ ডেস্ক : বিদ্যুৎ, গ্যাস সহ দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে নিরপেক্ষ-নির্দলীয় সরকারের দাবিতে ১লা এপ্রিল-২০২৩, শনিবার বিকাল ৪ টায় গণফোরাম চত্বরে গণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে গণফোরাম-বাংলাদেশ পিপলস পার্টি।

গণ অবস্থান কর্মসূচির প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণফোরাম সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন- দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য টিসিবির গাড়ী যখন রাস্তায় আসে ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিক্রয় করতে আধা ঘন্টার মধ্যে টিসিবির গাড়ী খালি হয়ে যায়। মানুষ টিসিবির গাড়ির পিছনে ছুটে, কোথায় গাড়ী আর কোথায় মানুষ? তার কোন হদিস থাকেনা! দ্রব্যমূল্যের এতোই ঊর্ধ্বগতি হয়েছে চিন্তা করতে পারেন আমাদের দেশে গরুর মাংসের দাম ৮০০ টাকা কেজি! মুরগীর দাম কোথায় গিয়ে ঠেকেছে! আর খাসির দামতো মানুষ চিন্তাও করতে পারে না, খাসি নামে একটা কিছু আছে যেটা খাওয়া যায়! ২০১৪ সালের ভোটার বিহীন নির্বাচন ও ২০১৮ সালের মধ্য রাতের নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে কবর দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল এক ঘটনা সৃষ্টি করেছে মধ্য রাতের ভোটের মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে। বাংলাদেশের মানুষ সত্তোরের নির্বাচনে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল বাংলাদেশের জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য সেটা ছিল সমস্ত বঞ্চনা, অত্যাচার, নির্যাতন, নিপিড়ণ রুখে দিয়ে বাক স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার লড়াই। যা ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্তম্ভ। আজকের দিনে কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্তম্ভ গুড়িয়ে দিয়েছে। তাই সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত করতে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম রাজপথে অব্যহত থাকবে।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সর্দার চাখারী বলেন- গণতন্ত্রকামী সকল রাজনৈতিক শক্তিকে সাথে নিয়ে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আমাদের সংগ্রাম চলছে চলবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন- রুচির সংকট তৈরি করেছে ভোটচোর আওয়ামী লীগ সরকার। রুচির সংকট কোথায় হয়েছে দেখছেন না, সংকট হয়েছে আপনাদের মধ্যে, আপনারা মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে অর্জন করা সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে দালালে ভরপুর করে রেখেছেন, আজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শিক্ষক সমিতির মাধ্যমে প্রথম আলোকে কটাক্ষ করে বিবৃতি দিয়ে রুচির সংকট সৃষ্টি করেছে। রুচির সংকট হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট জোর করে দখল করা, প্রেসক্লাব দখল করা। রুচির সংকট হচ্ছে আপনারা যারা পদ-পদবী, পদায়ন এবং পদকের জন্য বিকৃতভাবে ক্ষমতাসীনদের আশে পাশে ঘুরে বেড়ানো। আপনারা নির্লজ্জ, লজ্জা সরমের বালাই নেই, আপনারা নাগরিকদের তুলে নিয়ে গুম করেন, খুন করেন। বিরোধী দলের শত শত নেতাকর্মীদের বিচার বহির্ভূত হত্যকাণ্ডের মাধ্যমে এদেশের গণতন্ত্রকে কলঙ্কিত করেছেন। আমরা দেখেছি সরকারী অফিসের কর্মচারী জেসমিন সুলতানাকে তুলে নিয়ে র‌্যাব হেফাজতে হত্যা করা হয়েছে। রুচির সংকট এদেশে সৃষ্টি করেছে অবৈধ ভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা আওয়ামী লীগ সরকার।

বাংলাদেশ পিপলস পার্টির মহাসচিব আব্দুল কাদের বলেন- ডিজিটাল এ্যাক্ট এর মাধ্যমে সাংবাদিক সহ সকল মানুষের কণ্ঠরোধ করতে চায় এই ভোটার বিহীন সরকার। প্রথম আলোর সম্পাদক সহ যে রিপোর্টার এর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং সকল হয়রানি বন্ধের আহবান জানাই।

আরও বক্তব্য রাখেন গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট এ.কে.এম. জগলুল হায়দার আফ্রিক, সভাপতি পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা খান সিদ্দিকুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ¦ মির্জা হাসান, তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোঃ নাছির হোসেন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক আব্দুল হামিদ মিয়া, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক তাজুল ইসলাম, মহিলা সম্পাদক নিলুফার আহমেদ শাপলা, ছাত্র সম্পাদক মোঃ সানজিদ রহমান শুভ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিবুর রহমান বুলু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এম.এ. কাদের, সাধারণ সম্পাদক এরশাদ জাহান সুমন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজম রুপু, ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান খোকন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেখ শহিদুল ইসলাম, ফারুক হোসেন, মোঃ গুলজার হোসেন, গুলনাহার বেগম, জান্নাতুল মাওয়া, কামাল উদ্দিন সুমন, আনোয়ার ইব্রাহীম সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ।

বাংলাদেশ পিপলস পার্টির কো-চেয়ারম্যান পারভীন নাসের খান ভাসানী, মোঃ রফিকুল ইসলাম খান রনো, প্রেসিডিয়াম মেম্বার মোঃ আতিকুর রহমান লিটন, গোলাম মোস্তফা, মাহফুজা বেগম, নাজমা আক্তার, হারুন অর রশিদ, রানী শেখ, আলমগীর হোসেন সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image