• ঢাকা
  • শনিবার, ৭ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

নৌকা হেরে গেলে বাংলাদেশ অন্ধকারে তলিয়ে যায়: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ১১ অক্টোবর, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ, ১২:৩৩ এএম
সার্বিক কোনো উন্নয়ন হয়নি
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

নিউজ ডেস্ক:  নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, শান্তি ও আত্মনির্ভরশীলতার প্রতীক নৌকা যখনই হেরে যায়, বাংলাদেশ তখন অন্ধকারে তলিয়ে যায়। যখনই আমরা নৌকা হারিয়ে ফেলেছি, তখনই বাংলাদেশ অন্ধকারে তলিয়ে গেছে। দরিদ্র থেকে আরো দরিদ্র হয়েছি, সার্বিক কোনো উন্নয়ন হয়নি। খুনিদের নিরাপত্তা দিয়ে বিকৃত সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।

প্রতিমন্ত্রী রাতে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘মুজিববর্ষে শতঘণ্টা মুজিবচর্চা’ শীর্ষক ধারাবাহিক আলোচনায় এসব কথা বলেন। এ পর্বের আলোচনার বিষয় ছিল ‘নদী, নৌকা ও বঙ্গবন্ধু’।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, নৌকায় ভোট দিয়ে মানুষ কিছু না কিছু পায়। ১৯৫৪ সালে মানুষ নৌকায় ভোট দিয়েছিল, নৌকার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল। সে কারণে ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার পর সেই ধারাবাহিকতায় ১৯৭০ সালে স্বাধীনতার পথ তৈরি করে দিয়েছিল এই নৌকা প্রতীক।

খালিদ মাহমুদ বলেন, নৌকার কারণেই ১৯৯৬ সালে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। বিকৃত সমাজ ব্যবস্থা থেকে দেশ স্বাভাবিক ধারায় ফিরে এসেছে। পাঁচ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি একটা সুষ্ঠু ধারায় চলে এসেছিল। কৃষকদের ভর্তুকি দেয়া হয়েছিল। যার ফলে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্জন করি। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক ধাপ শুরু হয়। ২০০১ সালে আবার নৌকাকে হারিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ বিভীষিকাময় পথে যাত্রা শুরু করে।

প্রধানমন্ত্রী রূপপুরে পরমাণু চুল্লি স্থাপনের উদ্বোধন করেছেন। সমগ্র দেশ  আবেগতাড়িত। আমরা পারমাণবিক যুগে পা দিলাম। নৌকার জন্যই এ অসাধারণ প্রাপ্তি। প্রতিনিধিরা বিভিন্ন দেশে যেত কিছু চাওয়ার জন্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এখন ঋণ দেই। এটা শুধু নৌকার সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততার জন্য।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বিশ্বব্যাংকের পক্ষে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী চ্যালেঞ্জ নিলেন। আজকে পদ্মাসেতু বাস্তব রূপ। এটা সম্ভব হয়েছে নৌকার সঙ্গে জনগণ আছে বলেই। নৌকার জন্যই আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। রিজার্ভ বেড়েছে। এসব কিছুর প্রেরণা বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ।

তিনি বলেন, উন্নত বাংলাদেশকে ধরে রাখতে নদীকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রী শতবর্ষ ডেল্টা প্ল্যান দিয়েছেন। এ নদীগুলো বাংলাদেশের বিজয়ের ঢাল ছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এ নদীগুলো সহায়ক ছিল। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরেই তিনি বলেছেন নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে। নদীগুলো বাংলাদেশের শিরা-উপশিরা; এ কথাগুলোই বঙ্গবন্ধু বলেছেন।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল এ আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ‘মুজিববর্ষে শতঘণ্টা মুজিবচর্চা’ কর্মসূচির প্রধান উপদেষ্টা জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, লেখক ও গবেষক ড. রতন সিদ্দিকীসহ জেলার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image