
নিউজ ডেস্ক: পনেরোই আগস্টের হত্যাকান্ড নৃশংসতার দিক দিয়ে কারবালার মর্মন্তুদ কাহিনিকেও হার মানিয়েছে, বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
রোববার রাজধানীতে মহাখালীর ২০ নম্বর ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তরের বনানী থানা আওয়ামী লীগের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, কারবালার প্রান্তরে হযরত ইমাম হোসেন (রাঃ) কে হত্যা করা হলেও নারীদের হত্যা করা হয়নি। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পাশাপাশি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ অন্তঃসত্ত্বা বেগম আরজু মণি,
বঙ্গবন্ধুর দুই নবপরিণীতা পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামালকে হত্যা করা হয়। হত্যা করা হয় দশ বছরের শিশু রাসেল, চার বছরের শিশু সুকান্ত বাবু, দশ বছরের শিশু আরিফ সেরনিয়াবাত, বারো বছরের বেবি সেরনিয়াবাতকেও। বেড়াতে আসা অতিথি এবং কাজের মানুষেরাও ঘাতকের হাত থেকে সেদিন রেহাই পায়নি।
সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে হত্যার উদ্দেশ্যেই সেদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছিল উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, যে অপশক্তি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর হিসেবে এদেশের মুক্তিকামী মানুষের ওপর অত্যাচার নির্যাতন করেছে এবং যে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, তাদের যৌথ ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে সরাসরি যুক্তদের বিচার হয়েছে, কিন্তু খন্দকার মোশতাক, জিয়াউর রহমানসহ এ হত্যাকান্ডের কুশীলবদের বিচার করতে হবে যাতে শতবর্ষ পরের প্রজন্ম ঠিক ইতিহাস জানতে পারে, বলেন হাছান মাহমুদ।
ঢাকা উত্তরের বনানী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ তাদের বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম ও ১৫ আগস্টের ওপর আলোকপাত করেন।
সভাশেষে উপস্থিত মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন অতিথিরা।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: