• ঢাকা
  • বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

স্ত্রীকে হত্যা করতে খুনিদের তিন লাখ টাকা দেন বাবুল


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ আগষ্ট, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৮:২৯ এএম
মিতু
ছবি বামে মাহমুদা খানম মিতু, বাবুল আক্তার

নিউজ ডেস্ক: বাবুল আক্তারের পরিকল্পনা ও অর্থায়নে মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যা করা হয় বলে তদন্তে উঠে এসেছে। অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্কের জেরেই তিনি স্ত্রী মাহমুদাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এ জন্য তিনি তিন লাখ টাকায় খুনি ভাড়া করেন। কিলিং মিশনে ছিলেন ৬ জন।

পিআইবি প্রধান বনজ কুমার মজুমদার এসব তথ্য জানান। 

বনজ কুমার জানান, মিতু হত্যায় বাবুলসহ সাতজনকে আসামি করে ইতিমধ্যে অভিযোগপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। পিবিআইয়ের তদন্তের সঙ্গে একমত পোষণ করে গতকাল মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) অভিযোগপত্র দাখিল করার পক্ষে মত দিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে আগামী মাসে পিবিআই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিতে পারে। অভিযোগপত্রে সাবেক এসপি ও মিতুর স্বামী বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। বাকি ছয় আসামি হলেন, মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু ও শাহজাহান মিয়া।

পিবিআই সূত্রে জানা যায়, অভিযোগপত্রে চারজনকে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়। তারা হলেন সাইদুল ইসলাম শিকদার ওরফে সাক্কু, নুরুন্নবী, মো. রাশেদ ও আবু নাছের। এদের মধ্যে রাশেদ ও নুরুন্নবী ঘটনার কয়েক দিন পর পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় সড়কে খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। খুনিরা গুলি করার পাশাপাশি তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। ঘটনার সময় বাবুল আক্তার ঢাকায় ছিলেন।

হত্যাকাণ্ডের পর বাবুল আক্তার নিজেই নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলা তদন্ত করতে গিয়ে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ।

জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে মামলায় অভিযোগ করেন তিনি। তবে দিন যত গড়িয়েছে মামলার গতিপথও পাল্টেছে। এক পর্যায়ে সন্দেহের কেন্দ্রবিন্দুতে আসে বাবুল আক্তারের নাম। তদন্তে তার বিরুদ্ধে মিতু হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে হেফাজতে নেয় পিবিআই।

গত বছরের ১২ মে বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে নতুন করে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় বাবুল আক্তারকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। রিমান্ড শেষে প্রথমে আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার কথা থাকলেও পরে জবানবন্দি দেননি বাবুল। পরে তাকে চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়। সূত্র: দৈনিক ভোরের কাগজ অনলাইন

ঢাকানিউজ২৪.কম / এসডি

আরো পড়ুন

banner image
banner image