• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

মিঠামইনে গৃহবধূ রিমা হত্যা মামলার চার্জ সিটের বিরুদ্ধে বাদী পক্ষের নারাজি 


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৯ মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০২:৪৬ পিএম
মিঠামইনে হত্যা মামলার চার্জ সিটে বাদী পক্ষের নারাজি 
গৃহবধূ রিমা

বিজয় কর রতন, মিঠামইন (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের শেখের হাটী গ্রামের গৃহবধূ রিমা আক্তার (২২) কে শ্বশুর বাড়ির লোকজন পরিকল্পিত ভাবে নৃশংস ভাবে ২০২১ সনের নবেম্বর মাসের ২১ তারিখ মিঠামইনের মিষ্টার হাওরে খুন করে ফেলে রাখার অভিযোগে মিঠামইন থানায় ১০ জনের বিরুদ্ধে নিহত রিমার মামা পরাণ মিয়া বাদী হয়ে খুনের মামলা দায়ের করেছেন। মিঠামইন থানার মামলা নং ৪।ধারা ৩০২,২০১, ৩৪ দ:বি।মামলা খানি পরবর্তীতে পিবি আই  মামলার তদন্ত বার বহন করেন।

পিবি আই তদন্ত শেষে ১০ জন আসামীর শেষে প্রধান আসামী নিহত রিমার স্বামী আমির আলী মীর (২৬) কে চার্জ সিটে অন্তর ভুক্ত করে বাকী ৯ জন আসামীকে বাদ দিয়ে গত ২১ /১২/২০২২ পিবি আই এর এস আই মোস্তাফিজুর রহমান মাননীয় আদালতে চার্জসিট দাখিল করেন।বাদী মোঃ পরাণ মিয়া পিবি আই এর চার্জ সিটের বিরুদ্ধে আমল গ্রহণকারী আদালত নং৪ এ নারাজি পিটিশন দাখিল করেন। আদাল ১৮ /৫/২০২৩ তারিখ বৃহস্পতিবার বাদীর আবেদন পর্যালোচনা করে মামলা খানী অধিকতর তদন্তের জন্য সি আই ডি কে নির্দেশ প্রধান করেন।

মামলার বাদী পরাণ মিয়া জানান,পিবি আই কে চার্জ সিট দেওয়ার পূর্বে তিনি অনেক কান্না কাটি করেছেন। তার ভাগিনি রিমা হত্যাকারীরা যেন প্রকৃত বিচার পায়।কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামী পক্ষের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে লাভবান হয়ে এ মামলার ৯ জন আসামী কেই ছেড়ে দেন।এমনকি তাকে উপরের কর্মকর্তার নির্দেশ রয়েছে বলেও হুমকি দেওয়া হয়।অবশেষে টাকা পয়সা ধার করে নেয় বিচার পাওয়ার আশায় আদালতে নারাজিপিটিশন দিতে বাধ্য হয়।বর্তমানে সি আই ডির এস আই নজরুল ইসলামকে মামলার অধিগত তদন্তের জন্য কোর্ট থেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।পরাণ মিয়া আরও জামান,তিনি সি আই ডির এস আই নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করেছেন। তিনি জানান, দুই এক দিনের মধ্যে মামলার তদন্ত শুরু করবেন। 

উল্লেখ্য, উপজেলার ঘাগড়া গ্রামের শেখের হাটীর আমজাদ হোসেনের কন্যা রিমা আক্তার (২২)কে ৪/৫ বছর আগে একই গ্রামের মীর বাড়ির আনোয়ার হোসেনর পুএ আমীর হোসেনের সাথে বিয়ে হয়।তাদের ঘরে আড়াই বছরের একটি ছেলে সন্তান ও রয়েছে যার নাম জামীর হোসেন। বিয়ের পর কিছু দিন ভালোই চলছিল তারপর শ্বশুর বাড়ির লোকজন শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। পরবর্তীতে স্হানীয় ভাবে বিষয়টি মিমাংসা করে, উভয় পক্ষ একে অপরকে তালাক দিয়ে দেয়।পরে দরীদ্র পরিবার হওয়ার কারণে রিমা চট্টগ্রামে এক গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে চাকরি নেয়। তার সন্তান জামির কে বাড়িতে বোনের নিকট রেখে যায়।আসামি আমীর আলী (সাবেক স্বামী)  মোবাইল ০১৯১৮৬৫৫২৮৩ এই নাম্বারে প্রায়ই ফোন করিয়া পুনরায় রিমাকে বিবাহ বন্দনে আবদ্ধ হওয়ার প্রলোবন দেখায়।রিমা তার প্রলোবনে পরে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়। পরবর্তীতে আসামী খোকন মিয়ার সহযোগিতায় বিগত ১২/১১/২০২১ তারিখ বিকালে চট্টগ্রাম থেকে তাদের বাড়িতে আসে।আসার পরদন ১৩/১১/২০২১ সন্ধ্যার পর রিমাকে বিয়ে করবে মর্মে সকলের অজান্তে আসামি আমীর বাড়ি থেকে নিয়ে পালিয়ে যায়।পরে আসে পাশে খুঁজ না পেয়ে চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন আত্নীয় স্বজনের বাড়িতে খুঁজাখুজি করা হয়।বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার ৩ দিন পর বিগত ১৬ /১১/২০২১ ইং সন্ধ্যা অনুমান ৭ টা সময় লোকমুখে শুনতে পেরে  মিঠামইন সদর ইউনিয়নের মিষ্টা গ্রামের দক্ষিণ পাশে কাদের মাঝে একটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে। তখন তার আত্নীয় স্বজন গিয়ে রিমার লাশ বলে শনাক্ত করে।সংবাদ পেয়ে  মিঠামইন থানা পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন।এসময় রিমার বাম পাশের স্তন ও শরীরের বিভিন্ন অংশের ছ্যাকা পুড়ার দাগ ছিল লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মরগে পাঠাহয়।

পিবি আই এর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,আসামী ১০ জনের মধ্যে ৯ জনের বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেয়।প্রমাণ ও নেই।তাই অভিযোগ পএ থেকে তাদের কে বাদ দেওয়া হয়েছে। টাকা পয়সার কোনো লেনদেন হয় নাই এটা মিথ্যা। 

বর্তমানে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সি আই ডির এস আই নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মামলার তদন্ত বার পেয়েছি এ সাপ্তাহে তদন্ত শুরু করবো।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image