• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

আজ আরও একটি স্বপ্ন 'শেখ হাসিনা সরণি'র উদ্বোধন


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৮:৫২ এএম
আজ আরও একটি স্বপ্ন
শেখ হাসিনা সরণি'র উদ্বোধন

নিউজ ডেস্ক :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন উচ্চ গতির এ সড়ক পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে। দেশের প্রথম ১৪ লেনের সড়ক। মঙ্গলবার এর মাধ্যমে ঢাকার পূর্ব থেকে পশ্চিমে তৈরি হচ্ছে নতুন সংযোগ। যা ঢাকাকে আরও বেশ কয়েকটি অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করবে বাধাহীন পথে; নিরসন হবে উত্তরের জলাবদ্ধতাও।রাজউক এই সড়কের নাম দিয়েছে ‘শেখ হাসিনা সরণি’।

ঢাকার নতুন গেইটওয়ে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে। দেশের প্রথম ১৪ লেনের মহাসড়ক, যার ৮টি এক্সপ্রেসওয়ে। এরই মধ্যে শতভাগ কাজ শেষ; কুড়িল থেকে কাঞ্চন সড়ক বাতির কাজও শেষ। মহাসড়কের দুপাশে রয়েছে ১০০ ফুট খাল। বিশেষ ব্যবস্থা থাকায় ভারি বৃষ্টিতেও এ পথে হবে না জলজট। তাছাড়া নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনেও এই প্রকল্প রাখবে বিশেষ ভূমিকা।

সড়ক ডিভাইডারে বসেছে ৩৩ হাজার নানা জাতের গাছ। রোড মার্কিং-এর কাজ শেষ হওয়ায় যুক্ত হয়েছে নতুন মাত্রা। কুড়িল থেকে কাঞ্চন পর্যন্ত ১২.৩০ কিলোমিটার দেশের প্রথম ১৪ লেনের সড়ক। দুপাশে ১০০ ফুট লেক আর পাঁচটি অ্যাডগ্রেডে ইন্টারসেকশন এ পথকে দিয়েছে এক নান্দনিক রূপ। ফলে কুড়িল থেকে কাঞ্চন এই পথে যাওয়া যাবে বিনা বাধায়।

কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত বাকি পথটার দুপাশে আছে আট লেনের রাস্তা, যা আশপাশের এলাকাকে এই সড়কে যুক্ত করবে। সঙ্গে আছে দুই পাশের খাল। এটি কেবল এই এলাকা না, ঢাকা উত্তরের একটি বড় অংশের জলাবদ্ধতা নিরসনে সহায়তা করবে।

দেশের ৫০ বছরের বৃষ্টির পরিমাণ নিয়ে গবেষণা করে যে ব্যবস্থা করা হয়েছে তাতে রেকর্ড ছাপিয়ে বৃষ্টি হলেও এই পথে শঙ্কা নেই জলজটের। 

পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এম এম এহসান জামিল সময় সংবাদকে বলেন, ‘ঢাকা উত্তরের জলাবদ্ধতা নিরসন, ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম-সিলেটসহ বিভিন্ন শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থার সমন্বয় বা উন্নয়ন সেটা আমরা করতে পেরেছি। পরিবেশের বিষয়টিও দেখভাল করা হচ্ছে। প্রতিটি ইন্টার সেকশনের নিচে দুটা করে চৌবাচ্চা আছে, বৃষ্টির পানি ধারণের জন্য। প্রতিটিতে ৪ লাখ গ্যালনের সমপরিমাণ পানি ধরবে।’

পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঢাকার পূর্ব-পশ্চিমের এটাই প্রথম এতো বড় সড়ক। যা ঢাকাকে আশপাশের মহাসড়কগুলোর সাথেও সরাসরি যুক্ত করবে। আর এমন সড়ক শুধু বাংলাদেশেই নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়াতেও প্রথম। এ পথ শুধু বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সহজই করবে না, পরবর্তীতে যেকোনো সড়ক কিংবা মহাসড়ক নির্মাণে এ পথ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

প্রকল্প পরিচালক এম এম এহসান জামিল জনান, আগামী ৫০ বছরের হিসাব করেই এই রাস্তাটি তৈরি করা হয়েছে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image