
জহিরুল ইসলাম সানি :
নগরীতে একের পর এক ভবন মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড ও ধ্বসের পর ফায়ার সার্ভিস, রাজউক ও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও মার্কেটের তালিকা করে সেগুলো অপসারণের জন্য ভবন মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। ওই সব আদেশ জারির পর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও কার্যকর হচ্ছেনা।
জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সদরঘাট হকার্স মার্কেটে টিন-কাঠের একতলাকে অবৈধভাবে দুই থেকে পাঁচতলা পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে। এভাবে ৮৩২টি দোকানের অবকাঠামো পরিবর্তন করে দেয়া হয়েছে।
চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে অবৈধভাবে নির্মিত মার্কেট উচ্ছেদ করার সুপারিশ করে কর্তৃপক্ষ বরাবর। কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও সেখানে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এদিকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) পরিদর্শক দল সদরঘাটের আহসানুল্লাহ রোডের কয়েকটি ভবন "অতি ঝুঁকিপূর্ণ " ঘোষণা করে জনগনের জান মালের জন্য ওইসব ভবন অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করে ওইসব ভবনের মধ্যে প্রভাবশালী এক সংসদ সদস্যের ভবন রয়েছে।
সদরঘাট এলাকার মার্কেটগুলোর বিষয়ে ডিএসসিসির ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুর রহমান মিয়াজী বলেন, সদরঘাট এলাকায় টিনশেডের মার্কেটগুলোও ঝুঁকিপূর্ণ। পাশাপাশি বড় মার্কেটগুলোও ঝুঁকিপূর্ণ। এগুলোর যেন-তেন অবস্থা। কয়েকটি মার্কেটে আমি ভয়ে প্রবেশ করিনা। এছাড়া দুটি মার্কেটে বহুবার বলার পরেও সিসি ক্যামেরা লাগাতে পারে নাই। ৩/৪ ওয়াজঘাটের মেরিন মেকারদের ভবনটা জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে বলে জানান তিনি। ডিএসসিসি সিটি কর্পোরেশনের মার্কেটগুলোতে সামনে কাজ করার কথা রয়েছে। মার্কেটগুলোর ব্যবসায়ীরা সব টাকা কামাতে ব্যস্ত। মার্কেটের রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে তারা ব্যয় করতে চায় না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: