• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৮ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

বাংলাদেশে পারমাণিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানে কোরিয়ার আগ্রহ


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১২:০৬ পিএম
বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে আগ্রহী হতে পার্
কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাং-কুন

নিউজ ডেক;   বাংলাদেশের দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হলে সেখানে দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানিগুলো আগ্রহী হতে পারে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জাং-কুন।  ৩১ আগস্ট ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ডিক্যাব টকে এক প্রশ্নে এ কথা জানান তিনি।
 
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হলে সেখানে কোরিয়া কীভাবে সহযোগিতা দিতে পারে, এমন প্রশ্নে রাষ্ট্রদূত বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এক্ষেত্রে আরও চিন্তাভাবনা করতে হবে। ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী কোরিয়া বিশ্বের ষষ্ঠ পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দেশ। আমাদের ২৪টি এমন বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু রয়েছে।

তিনি বলেন, মিশরের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ সম্প্রতি পেয়েছে কোরিয়া। সুতরাং আমাদের পরমাণু সক্ষমতা আছে এবং প্রযুক্তিও আছে। যদি আগ্রহ দেখানো হয় ও এক্ষেত্রে সব ধরনের শর্ত মেটানো যায়, তাহলে কোরীয় কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে আগ্রহী হতে পারে।
 
তিনি বলেন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মতো বড় না হলেও বাংলাদেশ কোরিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক উন্নয়ন সহযোগিতা (ওডিএ) গ্রহণকারী দেশ। আমরা আশা করি, এই বছর দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ হয়ে যাবে। আমি আপনাদের জানাতে চাই, বাংলাদেশের জন্য সহজ শর্তের ঋণ সুবিধা বা ইডিসিএফ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোরিয়া। যা পাঁচ বছরে ৭০ কোটি থেকে তিনশ’ কোটি মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে। ২০২২ থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে এটা বাস্তবায়ন করা হবে।
 
এখন পর্যন্ত কোরিয়া বাংলাদেশকে মোট ১৩৪ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা দিয়েছে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত।
 
রাষ্ট্রদূত লি জাং-কুন বলেন, ২০১৯-২০ সালের ১১০ কোটি ডলার থেকে ২০২১-২২ সালে ১৪০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। কোরিয়া বাংলাদেশের পঞ্চম শীর্ষ বিদেশি বিনিয়োগকারী। এই প্রান্তিকের হিসাব অনুযায়ী, কোরিয়া থেকে সর্বোচ্চ ১৫ কোটি ডলার বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে, যা সব দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।
 
দুদেশের সর্বোচ্চ পরিমাণ বাণিজ্য হওয়ার কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বলেন, যা প্রথমবারের মতো ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। ২০২১ সালে কোরিয়া থেকে বাংলাদেশে পণ্য এসেছে ১৬৩ কোটি ডলারের, যা আগের বছরের তুলনায় ৫৮ ভাগ বেড়েছে। আর কোরিয়ায় বাংলাদেশের পণ্য গেছে ৫৫ কোটি ২০ লাখ ডলারের, যাতে বাৎসরিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪০ শতাংশ।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image