নিউজ ডেস্ক : চলতি বছর রাজধানীতে শীতের প্রকোপে জনজীবন বিপর্যস্ত। এ বছর শীত বেশি পড়ার কারণ হিসেবে আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, দেশে দিন-রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম থাকা; বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম; মাঝরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত, কখনও আবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত থাকে দেশ; ভূপৃষ্ঠ থেকে আকাশের দিকে প্রায় ২০০ মিটারের একটি কুয়াশার স্তর থাকে। এতে সূর্যের আলো ভূপৃষ্ঠে আসতে পারছে না। ফলে ভূপৃষ্ঠ এবং এর সংলগ্ন বাতাসের উষ্ণতা বাড়তে পারেনি।
এছাড়া ভারতের হরিয়ানা, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের তাপমাত্রা অনেক কম। শীত মৌসুমে সাধারণত ঐসব এলাকা (উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক) থেকে বাংলাদেশমুখী বাতাসের গতি থাকে। সেটাও শীতল। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মেঘমুক্ত আকাশ।
আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী দু-এক দিন এই শীতের অনুভূতি থাকতে পারে। দুই দিনের মধ্যে কুয়াশা কিছুটা কাটতে শুরু করবে। এতে রোদ বেড়ে তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। কমতে থাকবে শীতও।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের উপপরিচালক ছানাউল হক মন্ডল বলেন, ফেব্রয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত শীত কমবে না।
কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, এবার ফেব্রুয়ারি জুড়েই শীত মৌসুম থাকতে পারে। জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে একটি ও ফেব্রুয়ারিতে দুই থেকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: