ডেস্ক রিপোর্টার: সুন্দরবনে চার বছর পর বাঘ শুমারি শুরু হতে যাচ্ছে। এবার শুমারিতে বাঘের স্যাটেলাইট কলার স্থাপনের মাধ্যমে যোগ হতে যাচ্ছে নতুন মাত্রা। থাকছে ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতির ব্যবহারও। ফলে বাঘের মনিটরিংসহ প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণ করা যাবে। এ ছাড়াও বাঘের ঝুঁকি বিবেচনায় নেয়া হয়েছে চার বছর মেয়াদী সংরক্ষণ প্রকল্প।
সুন্দরবনে সবশেষ বাঘ শুমারি করা হয় ২০১৮ সালে। এরপর আর বাঘ শুমারি করা হয়নি। তাই চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে শুরু হবে বাঘ শুমারির কাজ। ফলে বাঘের সার্বিক বিষয়ে পর্যবেক্ষণের পাশাপশি জানা যাবে প্রকৃত সংখ্যা। এ জন্য অন্তত দু'টি বাঘে স্যাটেলাইট কলার স্থাপন এবং বনে ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে।
বাঘ শুমারি ছাড়াও চার বছর মেয়াদী প্রকল্পে বাঘ রক্ষায় ১২টি মাটির কেল্লা স্থাপন, বাঘ ও মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম গঠন, বন সংলগ্ন শুকিয়ে যাওয়া নদী ও খালে ৬০ কিলোমিটার নাইলনের ফেন্সিং নির্মাণ করা হবে।
বনবিভাগ বলছে, বাঘের প্রজনন সক্ষমতা, বনের বাঘ স্থানান্তর, বাঘের স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয় সহ বর্তমান অবস্থা জানতে বাঘ শুমারি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প ২০২২-এ শুরু হয়ে শেষ হবে ২০২৫ সালে। এসব বিষয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩৬ কোটি টাকা।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: