• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

শ্রীমঙ্গলে বিদায়ী ইউএনও নিজেও কাঁদলেন, অন্যদেরও কাঁদালেন


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১২ মে, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০১:০৭ পিএম
শ্রীমঙ্গলে বিদায়ী ইউএনও
শ্রীমঙ্গলে ইউএনও'র বিদায়ী অনুষ্ঠান

মো: জহিরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার সিলেট : শ্রীমঙ্গল উপজেলায় গত সাড়ে তিন বছরে মিশেছেন সাধারণ মানুষের সাথে,করোনাকালীন সময়ে রেকর্ড পরিমাণ কাজ করেছেন। ছুটে চলেছেন দিন গভীর রাতে দূর্গম পাহাড়ি আকাঁ বাকাঁ পাহাড়ি পথে।  

সরকারের প্রতিটি কাজ অক্ষরে অক্ষরে পালন  করেছেন। সরকারের আশ্রয় প্রকল্প করেছেন সারা বাংলাদেশের মধ্যে রোল মডেল। এ বিদায় যেন  কোন আপনের পরিবারে বিদায় স্মৃতি  হয়ে রইলো নজরুল ইসলামের কর্ম, শ্রম মানুষের প্রতি ভালোবাসা,

তাই তো বলতে হয়,  
যেতে নাহি দিব । হায় , তবু যেতে দিতে হয় ,
তবু চলে যায় ।

তিন অক্ষরের ছোট্ট একটি শব্দ-বিদায়। মাত্র তিন অক্ষর। কিন্তু শব্দটির আপাদমস্তক বিষাদে ভরা। শব্দটা কানে আসতেই মনটা কেন যেন বিষণ্ণ হয়ে ওঠে। এমন কেন হয়? কারণ এই যে,বিদায় হচ্ছে বিচ্ছেদ। আর প্রত্যেক বিচ্ছেদের মাঝেই নিহিত থাকে নীল কষ্ট। বিদায় জীবনে শুধু একবারই নয়, এক জীবনে মানুষকে সম্মুখীন হতে হয় একাধিক বিদায়ের। সে-ই যে জন্ম লগ্ন থেকে বিদায়ের সূচনা, তারপর জীবন পথের বাঁকে বাঁকে আরো কত বিদায় যে অনিবার্য হয়ে আসে…।

অশ্রুসিক্ত ভালোবাসায় বিদায় নিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।

গতকাল  মঙ্গলবার সকাল ১১ টায়  উপজেলা পরিষদ ত্যাগকালে ইউএনও নজরুলকে বিদায় জানাতে আসেন বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মী সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা, কর্মচারী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। এসময় তিনিও নিজের অঝড়ে কাদঁলেন এবং অন্যদেরও কাদাঁলেন।এ যেন কোন এক আপন জনকে বিদায় জানানো।  

বিদায়বেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী হিসেবে আমি আমার ওপর সরকারের অর্পিত দায়িত্ব স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও সমাজের বিশিষ্টজন সবার সাথে সমন্বয় করে পালনের চেষ্টা করেছি। সকল কাজে উপজেলাবাসীর সহযোগিতা ও সমর্থন ছিল আমার প্রেরণা। এখন যাবার বেলায় মনে হচ্ছে শ্রীমঙ্গল আমার একটি পরিবার। এ উপজেলার প্রতিটি মানুষ আমার পরিবারের সদস্য।

এই মানুষগুলোকে আমি কখনো ভুলতে পারবো না। তাদের ছেড়ে যেতে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। অতীতের আর কোন  বিদায়ী  ইউএনও  নজরুল ইসলামের মত কাজ করেনি। তিনি কাজ করতে গিয়ে মিশেছেন সাধারণ মানুষের সাথে। রাগ হয়ে কখনও কারোও সাথে কথা বলেনি। সাধারণ লোকের ডাকে পৌছে গেছেন পাহাড়ি দূর্গম এলাকায়।  ওনার বিদায় বেলায় কয়েক হাজার মানুষ ওনার বাস ভবনে বিভিন্ন বিদায়ী অনুষ্ঠানে জড়ো হয়েছেন ওনাকে এক নজর দেখতে। অনেকেই ওনার বক্তব্য শোনতে অনুষ্ঠানে যেতেন। ওনার কথাতে মানুষকে কাছে টানতে শেখায় কথার মাদুর্য জানতে তিনি।  

মানুষের মন জয় করেছেন, স্থান করে নিয়েছিলেন মানুষের হৃদয়ের মনি কোঠায়। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে বৃষ্টিতে ভিজে গত মঙ্গলবার ওনার বাস ভবনে হাজির হন  লোক জন। 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image