নিউজ ডেস্ক: আলোচিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় আপিল বিভাগের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তার পরিবার ও বিভাগের সহকর্মীরা। দ্রুত তারা এই রায় কার্যকর চান। এই রায়ের মাধ্যমে ১৬ বছরের অপেক্ষা ফুরাল বলে তাদের মন্তব্য।
অধ্যাপক তাহেরের মেয়ে অ্যাডভোকেট সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ বলেন, ‘এই রায়ে আমরা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছি। ১৬ বছর ধরে এইদিনের অপেক্ষায় ছিলাম। আমরা চাই দ্রুত এই রায় কার্যকর হোক। রায় কার্যকর হলেই প্রকৃত স্বস্তি মিলবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাবা অধ্যাপক তাহের দেশের একজন বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষাবিদ ছিলেন। তাকে হত্যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়নি, রাষ্ট্রের সম্পদকে হত্যা করা হয়েছে। দেশবাসী এই রায় কার্যকর দেখার অপেক্ষায় রয়েছে।’
এস তাহেরের সহকর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার তাপু বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে একটা বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে শিক্ষক হত্যাকারী কেউ পার পাবে না।
আরেক সহকর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম বলেন, ‘তাহের স্যার ছিলেন একজন শিক্ষার্থী বান্ধব ও মানবিক শিক্ষক। তার মতো একজন শিক্ষককে অমানবিকভাবে, নৃশংসভাবে হত্যা করা হলো। আমরা তখনই এর বিচার দাবিতে আন্দোলন করেছি। আজকের রায়ে আমি খুবই সন্তুষ্ট। এই রায়ে প্রমাণ হলো বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে কেউ পার পেয়ে যেতে পারে না। আসামিরা বাঁচতে নানা মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছিল, আজ সত্যটা সামনে এসেছে। জাতি অধ্যাপক এস তাহের স্যারকে আর পাবে না। কিন্তু তাকে হত্যাকারীর বিচার দেখে যেতে পারবে এটাই স্বস্তির।’
ভূতত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সোহাইল কবির বলেন, ‘এই রায়টির জন্য ১৬ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। অবশেষে রায় প্রকাশিত হয়েছে। অপেক্ষা শেষ হয়েছে।’
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ। ৩ ফেব্রুয়ারি নিহতের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত ৪ জনকে ফাঁসির আদেশ এবং ২ জনকে বেকসুর খালাস দেন। খালাসপ্রাপ্ত চার্জশিটভুক্ত ২ আসামি হলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও আজিমুদ্দিন মুন্সী। ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ এ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছিল পুলিশ। সূত্র. সমকাল
ঢাকানিউজ২৪.কম / এসডি
আপনার মতামত লিখুন: