• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ৯ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ; ২৩ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

মশার যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ ভৈরব পৌর বাসী


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ০৪ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১২:৪০ পিএম
যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ  ভৈরব পৌর বাসী
মশা

সোহানুর রহমান সোহান, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: গরমের আগমনের সাথে সাথেই মশার উপদ্রাব বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুন মশার কামড়ে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে ভৈরব পৌরবাসি। দিনেরাতে সমানতালে মশা খাচ্ছে পৌরবাসির রক্ত। 

মশার কামড়ে বাড়ছে মশাবাহিত অনেক রোগ। অথচ মশা নিধনে ভৈরব পৌরসভার নেই কোন কার্যক্রম। গণহারে মশা  বিস্তারেও  ভৈরব পৌরসভা নেইনি কোন পদক্ষেপ। অনেক দিন বৃষ্টিপাত না হবার ফলে মশার সংখ্যা ও আক্রমন বেড়ে গেছে কয়েক গুন। পৃষ্টিপাত না হবার ফলে এখন ড্রেন, নালা-নর্দমায় পানি কমেগেছে ও পানি স্থীর রয়েছে। সেখানে মশার প্রজনন হার অন্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। সেই সঙ্গে বাড়ছে মশার উপদ্রব ।

শুধু রাতে নয়, দিনেও সমান তালে মশা খাচ্ছে পৌরবাসির রক্ত শুধু পৌরবাসি নয় প্রত্যেক এলাকাতেই মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে সমান ভাবে। স্থানীয় পল্লী চিকিসক জানান, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়াসহ নানারকম চর্ম রোগগুলোসহ ছড়িয়ে পড়তে পারে মশা বাহিত নানা রোগ। ভোগান্তিতে পড়েছে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা তারা ঠিক মতো পড়ার টেবিলে বসতে পারছেনা। সন্ধা নামলেই যেন মশার মিছিল শুরু হয়, কিছুতেই তাদের থামানো যায়না। মিছিল করতে করতেই তারা হামলা চালাই মানুষের উপর। 

ভৈরব পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের  কয়েক জন গৃহিনী জানান, মশার উৎপাতে সন্ধার পর ঘরের জানালা দরজা বন্ধ করে দিতে হয়। তারপরও রেহাই নেয় মশার হাত থেকে। 

মশার উৎপাত থেকে বাঁচতে বাজারের বিভিন্ন কয়েল ও স্প্রে ব্যবহারেও নিস্তার মিলছেনা বলেও জানান অনেকেই। মশক নিধনে কার্যকর কোন উদ্যোগ না নেয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে কয়েক গুন। ভৈরব পৌর সভার বিভিন্ন এলেকা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ ড্রেন, নালা-নর্দমা, সড়কের আশপাশ, ফুটপাতসহ বিভিন্ন স্থান ময়লা-আর্বজনায় ঠাসা।

ড্রেন, নালা-নর্দমা আর্বজনায় ভরে উঠার কারণে পৌরসভায় মশার উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ পৌরবাসির। দীর্ঘদিন মশা মারার ঔষধ না ছিটানোর ও অভিযোগ করেন তারা। লাইট ডিজেল এবং লিমব্যাক (লাল তেল নামে পরিচিত) নামক মশার ডিম ধ্বংসকারী একটি তেল ছিটালে মশার হাত থেকে কিছুটা হলেও সস্তি পেত পৌরবাসি। 

অনেকে আবার বলছেন পৌরসভা কতৃপক্ষের উদাশিনতার কারনে মশার উপদ্রব বেড়েছে কয়েক গুন। পৌর কতৃপক্ষ শেষ যে কবে মশা মারার ঔষধ ছিটায়েছেন তা মনে করতে পারছেন না কেউ। 

মশার ঔষধ ছিটানোর ব্যপারে ভৈরব পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব ইফতেখার হোসেন বেনু জানান, আমরা তো পৌরসভার পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় ঔষুধ ছিটানোর ব্যাবস্থা করেছি তবে ঔষুধের থেকেও দ্বিগুণ শক্তিশালী মশা।  

ওষুধ দিলে মরে পরে থাকে কিছুক্ষুণ তার পর আবার জেগে উঠে।  তাই ভৈরব পৌরসভার সকল নাগরিকদের তিনি পরামর্শ দেন যার যার ঘর -বাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কার -পরিচ্ছন্ন রাখার তবেই মশার প্রজনন বিস্তার রোধ করা কিছুটা হলেও সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image