নিউজ ডেস্ক : ঢাকামুখী মানুষের ভিড় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবারও মাথাচাড়া দিতে পারে করোনা সংক্রমণ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা কমার পাশাপাশি ভ্যাকসিনে আগ্রহ হারানোয় চতুর্থ ঢেউ নিয়ন্ত্রণে রাখাই এখন চ্যালেঞ্জ। এ অবস্থায় কোনো লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত কোভিড পরীক্ষার পরামর্শ তাদের।
ঈদ আনন্দে ভাসছেন সারা দেশের মানুষ। রাজধানীসহ দেশের প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্রই মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। নেই সামাজিক দূরত্ব মানার কোনো বালাই। উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি।
এদিকে ঈদের ছুটি শেষে ফের শুরু হয়েছে শহরমুখী মানুষের ঢল। কাজের প্রয়োজনে যে যেভাবে পারছেন ফিরছেন রাজধানীতে। ভিড় ঠেলে ঢাকায় ফিরে বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মস্থলে যোগ দেয়ার পর নতুন করে সংক্রমণ বাড়ার শঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কোভিড ১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি ডা. মো. সহিদুল্লা সময় সংবাদকে বলেন, ঈদের পরে করোনা সংক্রমণ আরও বাড়বে। সংখ্যা ও হারের দিক থেকে বাড়বে, মৃত্যু ঝুঁকি তো থাকবেই। যখন একটা ঢেউ আসতে থাকে, তখন তো ঢেউ আসবেই। সেই ঢেউটাকে কতটুকু ছোট রাখতে পারি, ঢেউটাকে যত ছোট রাখতে পারব তত কম আক্রান্ত হবে, তত কম রোগীরা হাসপাতালে যাবে।
পরিসংখ্যান বলছে, চলতি মাসের ১০ জুলাই করোনা সংক্রমণের হার ছাড়ায় ১৭ শতাংশ। একই মাসের ৪ জুলাই একদিনে করোনা আক্রান্ত হন প্রায় ২ হাজার ৩০০ মানুষ। সেদিন কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১২।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঈদের সময়ে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা তুলনামূল কম থাকলেও ঈদ পরবর্তী সময়ে পরীক্ষা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে সংক্রমণও। এ অবস্থায় টিকার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীকে দ্রুত টিকার দেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, যারাই ঈদে শেষে ঢাকা মুখি হবে তাদের ক্ষেত্রে নজরদারিটা বাড়ানো উচিত। সব বন্দরে নজরদারি বাড়ানো উচিত। টেস্টের ব্যবস্থা বাড়ানো উচিত আর যাদের শনাক্ত করা হবে, তাদের যেন আইসোলেশনে রাখা হয়, এটা খুব জরুরি।
তিনি আরও বলেন, নিজেরা নিজেদের মতো করে দোকান থেকে ওষধ কিনে খাবেন না। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে চিকিৎসা করাবেন। আর শুরুতেই চিকিৎসা নেবেন। যেস কোনো জটিলতার মুখোমুখি হতে না হয়।
ডা. মো. সহিদুল্লা বলেন, যারা প্রথম ডোজ টিকা নিয়ে ২য় ডোচ টিকা নেননি, এমন সংখ্যা প্রায় এককোটি, তারা যেন দ্রুত ২য় ডোজটা নিয়ে নিন। বুস্টার নিয়েছেন ৩ কোটির মতো ১২ কোটির মধ্যে, তারাও যেন সেটি নিয়ে নেন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে শুরু হওয়া করোনায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ লাখ ৯০ হাজারের বেশি মানুষ আর মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ২০০ জনের বেশি।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: