ভৈরব প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ: গত রবিবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে ভৈরব বাজার মেঘনা নদীর তীব্র স্রোতে ২টি রাইছ মিলের ৩টি ঘর সহ ২ শ্রমিক পানিতে তলিয়ে যায়। ওই সময় নদী ভাঙ্গন শুরু হলে আসবাব পত্রের মধ্যে ফ্রিজ আনতে গিয়ে মোস্তাক ও শরীফ ঘর সহ পানিতে তলিয়ে যায়। ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস এবং নৌ ফায়ার স্টেশন দিনব্যাপী উদ্ধার কাজ চালায়। ভৈরব এর ২জন এবং কিশোরগঞ্জ থেকে ১ জন ডুবুরী চেষ্টা করেও তাদের খোজঁ পায়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাদিকুর রহমান সবুজ রবিবার সন্ধ্যায় উদ্ধার অভিযান বন্ধ ঘোষণা করেন। নিহতদের পরিবারের লোকজন সোমবার সকাল ১১টার দিকে ১ দল ডুবুরী এনে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। কিন্তু তারা লাশ খোঁজে পায়নি।
ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ¦ নাজমুল হাসান পাপন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতদের পরিবারের মাঝে ভৈরব উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ প্রদান করেন এবং অতিশীঘ্রই ক্ষতিগস্থ পরিবার ও মিল মালিকদের মাঝে আর্থিক অনুধান প্রদান করা হবে বলে জানান।
তাদের ধারণা তলিয়ে যাওয়া ঘরের মাধ্যে লাশ রয়েছে, ২০ জুন, মঙ্গলবার সকালে ফের ডুবুরী দল উদ্ধার কাজ শুরু করবে বলে জানায়। ভৈরব বাজার মেঘনা নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদ সীমার ৮৬ সে.মি. নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে অফিস সূত্রে জানা গেছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / সোহানুর রহমান(সোহান)/কেএন
আপনার মতামত লিখুন: