নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) কোটা বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন অস্ত্র উচিয়ে গুলি করার অভিযোগে অভিযুক্ত সেবক লীগ নেতা হাসান মোল্লাকে ভেবে এক যুবককে গণপিটুনি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে।
এদিন দুপুরে, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা হাসান মোল্লা মনে করে সুমন নামে এক যুবককে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে তার প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত হলে তাকে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয় শিক্ষার্থীরা। সেনাবাহিনী তাকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
কিন্তু খবর পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হাসপাতাল চত্বরে জড়ো হয়ে সেনাবাহিনীর গাড়ি ঘিরে ধরে এবং ওই যুবককে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় সেনাবাহিনীর হেফাজতে থাকা অবস্থায় শিক্ষার্থীরা সুমনকে পুনরায় গণপিটুনি দেয়। এছাড়া, সেনাবাহিনীর গাড়িতে থাকা আরেক ব্যক্তিকেও গণপিটুনি দেওয়া হয়, তবে তার পরিচয় জানা যায়নি। পরে সেনাবাহিনী ওই যুবকসহ তাদের গাড়িতে করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।
উল্লেখ্য, ১৫ জুলাই, সোমবার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সামনে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময়, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হাসান মোল্লাকে পিস্তল উচিয়ে গুলি করতে দেখা যায়। তিনি সেবক লীগ নেতা মোল্লা আবু কাওসারের ভাগ্নে এবং ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি গণপূর্ত অধিদপ্তরে ঠিকাদারি করেন এবং গোপালগঞ্জের বাসিন্দা। ইডেন কলেজের ছাত্রলীগের এক নেত্রীকে বিয়ে করেছেন বলে জানা গেছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / জেডএস/সানি
আপনার মতামত লিখুন: